সাটুরিয়া টর্নেডো দিবস আজ

হাসান ফয়জী, ২৬ এপ্রিল ২০১৯:
আজ ভয়াল ২৬
এপ্রিল। সাটুরিয়া টর্নেডো যাবতকালে পৃথিবীর
সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নেডোগুলোর একটি। ১৯৮৯ সালের ২৬ এপ্রিল (বুধবার)
বিকেলে মাত্র মিনিটেরও কম
সময়ের টর্নেডো জেলার
সাটুরিয়া বাজার, হরগজ, উত্তর কাউন্নারা, পশ্চিম কাউন্নারা বাহ্রসহ ১২টি
গ্রামকে লন্ড্ড করে দিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সংরক্ষিত তথ্য
থেকে জানা যায়, সাটুরিয়া টর্নেডো নামে দুর্যোগে ১৩০০
মানুষ নিহত হয় এবং আহত
হয় ১২ হাজার। গৃহহারা
হয় প্রায় এক লাখ লোক।
 
১৯৮৯ সালের ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যার
আগ মুহূর্তে কিছু বুঝে ওঠার আগেই মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া এলাকায় টর্নেডো আঘাত হানে। মুহূর্তের মধ্যেই সব ধ্বংসস্তূপে পরিণত
হয়। সাটুরিয়া বাজার এর আশপাশের
১২টি গ্রাম মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়।
 
১৯৮৯ সালের ওই ভয়াবহ টর্নেডোটি
জাতিসংঘের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা (ডব্লিউএমও) ভয়াবহতম টর্নেডো হিসেবে নথিভুক্ত করেছে।
সাটুরিয়ায় টর্নেডোতে হাত কেটে ক্ষতিগ্রস্ত সাটুরিয়া বাজারের আমির খসরু বলেন, ‘টর্নেডোর সময় আমি ঢাকা থেকে সাটুরিয়ার বাজারে ঢুকতে একটি ভবনে আশ্রয় নিই, ভবনটি ভেঙে আমি নিচে পড়ে যাই, এতে আমার ডান হাত ওপর থেকে কাটা পড়ে।
সাটুরিয়া টর্নেডোতে ক্ষতি গ্রস্ত সুদেব বসাক বলেন, আমি তখন ১৬ বছর বয়স।
সেদিন আমার পেটে কাঠ ঢুকে পড়ে। ঘনটায় ঢাকা
মেডিকেল কলেজে ১৮ মাস পর
আমার জ্ঞান ফিরে। দীর্ঘ বছর পর
সাটুরিয়ায় ফিরি। ১২১৩ বছর চিকিৎসা
নিতে হয়েছিল। ৩০  বছর
পার হলেও এখন সরকারী ভাবে দিনটি পালন
করা হয় না। আমি
জোর দাবী জানাচ্ছি দিন যে
যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়।
সাটুরিয়া বাজারের ব্যবসায়ী লিটন সাহা বলেন, ‘ওইদিন আমাদের দোকানেই আমার কাকা মারা যায়। ওই ঘটনার পর
থেকে আকাশে মেঘ দেখলেই ভয় হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক গনেশ চন্দ্র বলেন, ‘টর্নেডোর পর দেখি সাটুরিয়া
বাজার যেন এক মৃত্যুপরী। পৃথিবীর
সবচেয়ে ভয়াবহ টর্নেডো স্বীকৃতি পেলেও দিনটি উদযাপনে সরকারি কোনো কর্মসূচি না থাকাটা দুঃখজনক।
সাটুরিয়া  নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও বীর ‍মক্তিযোদ্ধা
অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো বলেন, এবার দায়িত্ব নিয়ে সাটুরিয়া টর্নেডো দিবস পালনের
ব্যাবস্থা গ্রহণ করব।
ব্যাপারে সাটুরিয়া
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন পারভীন বলেন, বিষয়ে ঊর্ধ্বতন
কর্র্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/  ২৬ এপ্রিলল ২০১৯।
আরও পড়ুন:

নুসরাত হত্যাকারির ও সিফাত উল্লাহর ফাঁসির দাবিতে সিংগাইরে মানববন্ধন

আরো পড়ুুন