বালিয়াটীর ডনের ওজন ২৪ মণ

ডনের সামনে খামারি মিজানুর রহমান

সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ৯ আগষ্ট: জেলার সাটুরিয়ার ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের মিজানুর রহমানের ২৪ মণ ওজনের ষাঁড় ডন নিয়ে চমক দেখাতে চান। শুধু মাত্র কাচা ঘাঁষ, খড় ও ভুষি খাওয়িয়ে বড় করেছেন ডন কে। সিন্ধি জাতের ২৪ মণের ওজনের ডন নামের এ ষাঁড়টি নিয়েই এবার ঈদুল আযহার হাটে লড়তে চান খামারি মালিক মিজানুর রহমান।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বলিয়াটী ইউনিয়নের ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের মিজানুর রহমান। বয়স (২৩) এবার মাষ্টার্স ১ম বর্ষে অধ্যয়ন রত। মিজান পড়া শুনা পাশা- পাশি ২ বছর ধরে ব্রয়লার মুরগি ও দেশীয় পদ্বতিতে ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন। তার পালে সবচেয়ে বেশী ওজনের যে ষাঁড়টি রয়েছে তার বর্তমান ওজন ২৪ মণ। সারাটা শরীর কালো তাই নাম দিয়েছেন ডন। ডনের খাবার তালিকা খুবই ছোট, কাচা ঘাঁষ, খড় ও ভূষি ছাড়া অন্য কোন খাবার সে খান না।

সাটুরিয়া উপজেলায় এবছর ঈদের হাটে বিক্রি করার জন্য যে কয়েকটি বেশী ওজনের ষাঁড় লালন- পালন করেছেন তার মধ্যে ডন ষাঁড়টি অন্যতম সুন্দর ও  বেশী ওজনের।

বৃহস্পতিবার  (৯ আগষ্ট) বিকালে মিজানের বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, তিনি শুধু ডন নয়, এর সাথে আরো ৩ টি গরু লালন করছেন। পেশা ছাত্র হয়েও তিনি পেশাদার গরু মোটা তাজাকরণ করছেন। চলতি ঈদুল আযহায় তিনি ২৪ মণ ওজনের ডন নামে ষাড়টি নিয়ে বাজারে ভাল দাম ধরতে চাচ্ছেন। সেই মুতাবেক তার প্রস্তুতিও চলছে। 

মিজানুর রহমান বলেন, আমি পড়া শুনার পাশা- পাশি ২ বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে গরু মোটাতাজা করণ করেছি। ডন নামে এ ষাঁড়টি ৬ মাস বয়স থাকা অবস্থায় ২ বছর আগে সাটুরিয়ার একটি স্থানীয় হাট থেকে ৬০ হাজার টাকায় কিনে আনি। এর পর থেকে দেশীয় পদ্বতিতে ডন কে লালন- পালন করতে শুরু করি। ডনের অত্যম চমক হচ্ছে তাকে শুধু খড়, ভূষি  ও কাচা ঘাষ খাওয়িয়ে বড় করেছি। এ খামারি আরো বলেন আমার ডনের ওজন স্বাভাবিক হওয়ায় এ হাটে কদর থাকবে বেশী। তাই তার ডনের দাম চাচ্ছি ১০ লক্ষ টাকা। ০১৭৪১ ৭৫৯৩৭৯ নাম্বারে সরাসরি খামারি মিজানের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের বাবর আলী বলেন, মিজান ছাত্র হয়ে গরু মোটা তাজাকরণ করেছে। ওর ষাঁড়টি খুবই শান্ত, কাল রংয়ের দেখতেও খুব সুন্দর। ডন নামক ষাঁড়টি ন্যায্য মূল্য পেয়ে লাভবান হলে। অন্যান্য ছাত্ররাও এ পেশায় আসবে। তাই সরকারের উচিত ঈদের হাট যেন স্থানীয় প্রশাসন যেন তদারকি করা হয়।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন ডা. মো. সেলিম জাহান বলেন, সাটুরিয়া উপজেলায় বেশী ওজনের ষাঁড় মোটা তাজাকরনের হিড়িক পড়েছে। এ বছর মিজানের ষাঁড় সাটুরিয়া উপজেলায় ৪র্থ। বর্তমানে ডনের দৈর্ঘ হচ্ছে ৫ ফিট ১০ ইঞ্চি, উচ্চতা ৫ ফুট, বুকের ভেড় ৮ ফুট ২৪ ইঞ্চি। বর্তমান ওজন ২৪ মণ।  ৪০-৫০ মণ ওজনের ষাঁড়ের ক্রেতা সাধারণত জেলার বাইরে থেকে আসে, সে ক্ষেত্রে মিজানের ২৪ মণ ওজনের ষাঁড় এ উপজেলার ক্রেতাদের নজর কারবে। আমরা আশাবাদী ডন উপযুক্ত দামে বিক্রি করে মিজান লাভবান হবে।

মানিকগঞ্জ২৪/ সাটুরিয়া/ হা.ফ/ ৯ আগষ্ট ২০১৮।
আরও পড়ুন:

নান্দেশ্বরীর ৪২ মণ ওজনের সম্রাট কে দেখতে ভিড়

আরো পড়ুুন