সাটুরিয়ায় বখাটের উৎপাতে এক ছাত্রীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ

সাটরিয়া প্রতিনিধি, ২২ শে ফেব্রুয়ারি:

মানিকগঞ্জর সাটুরিয়া উপজেলার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। গত বছরের মাত্র ৩ মাস ক্লাস করতে পেরেছে ঐ শিক্ষার্থী। গেল দুই মাসে দুই বার তালা ভেঙ্গে ঘরের প্রবেশ করার চেষ্টা করায় পরিবারটি সাটুরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। আর বখাটের পরিবারের বলছে এসবের কিছুই জানি না।

সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার নমব শ্রেণীর ছাত্রী। সে দরগ্রাম ইউনিয়নের বিলপুলি গ্রামের মেয়ে। একই গ্রামের ইনাম আলীর পুত্র লিটন (১৮) প্রায় এক বছর ধরে মাদ্রাসায় যাওয়ার আসার পথে বিরক্ত করে আসছে। বখাটে লিটনের ভয়ে সে গেল বছর মাত্র ৩ মাস ক্লাস করেছে।

পরে গ্রামবাসীর বসে লিটনকে শাসন করে। এর পর ৪ মাস লিটক ঐ ছাত্রীকে কোন উৎপাত না করলেও গত বৃহস্পতিবার রাতে তালা ভেঙ্গে ঘরের প্রবশ করার চেষ্টা করে। ছাত্রীর পরিবার চিৎকার করলে সে পালিয়ে লিটন পালিয়ে যায়।

স্কুলে যাবার পথে মেয়েকে বিরক্ত ও ঘরের প্রবেশ করার চেষ্টার কারনে মেয়েটির মা হেলেনা বেগম গত শুক্রবার ( ২১ শে ফেব্রæয়ারি) সাটুরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ছাত্রীর মা হেলেনা বেগম, মেয়ে আমার মাদ্রাসায় যেতে চাই ত না। পরে সে বলে পাশের বাড়ির লিটন তাকে রাস্তা ঘাটে বিরক্ত করত। আমার স্বামী ৯ বছর ধরে দেশের বাহিরে থাকে। আমি এক ছেলে ও এক মেয়ে কে নিয়ে বাড়ি থাকি। এভাবে পথে ঘাটে বিরক্ত কারায় আমার মেয়ে মাদ্রাসায় যেতে পারছে না।

ছাত্রীর বড় ভাই হেলাল আহম্মেদ বলেন, আমাদের কি অপরাধ ? আমার বোন কি মাদ্রাসায় যেতে পারবে না।

নবম শ্রেণীর ছাত্রী বলেন, আমি মাদ্রাসা কিংবা বাড়ির বাহিরে গেলেও লিটন আমার পিছু নেয়। সারা পথ নানা কটু কথা বলে। ভয় দেখায়। আমি পড়া লেখা করতে চাই, নিয়মিত মাদ্রাসায় যেতে চাই।

শনিবার দুপুরে লিটনের বাড়িতে গেলে লিটনকে পাওয়া যায়নি। লিটনের বড় ভাই সহিদুল বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগ ও উৎপাতের বিষয়টি আমাদের জানা নেই।

এ বিষয় সাটুরিয়া থানার এস, আই মো. আনিস বলেন, লিখিত আভিযোগটি আমাকে তদন্ত করতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে দোষী প্রমাণীত হলে আসামী লিটন কে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২২ ফেব্রুয়ারি২০২০।

আরো পড়ুুন