নারী ধর্ষণের অভিযোগে সাটুরিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ১১ ফেব্রুয়ারী: জেলার সাটুরিয়ায় ডাক বাংলাতো ২ দিন আটকে রেখে ধর্ষনের অভিযোগে সাটুরিয়া থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার শনিবার রাতে ঐ দুই অভিযোক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নিয়ে এসেছেন।

মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক সেকেন্দার হোসেন ও সহকারী উপপরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম।

অভিযোগকারী নারী ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা।  ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, এস, আই সেকেন্দার হোসেন আশুলিয়া থানায় কমরত থাকার সময় তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা ধার নিয়ে জমি কেনেন। জমি বিক্রির লাভের অংশ তাকে দেওয়ার কথা ছিল। সেই হিসাবে তিনি সেকেন্দার হোসেনের কাছে প্রায় তিন লাখ টাকা পাবেন। কিন্তু টাকা শোধ না করে সেকেন্দার তাকে ঘুরাতে থাকেন। সাটুরিয়া থানায় বদলি হওয়ার পরও তিনি সেকেন্দারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারী) তিনি তার এক ভাগ্নিকে (২০) সঙ্গে নিয়ে সাটুরিয়া থানায় যান। সেখানে সেকেন্দার তাকে টাকা দেওয়া হবে জানিয়ে ডাকবাংলোতে নিয়ে যান। সন্ধ্যার পর সাটুরিয়া থানার এএসআই মাজহারুল হাজির হন।

অভিযোগকারী আরো বলেন, সেখানে দুই পুলিশ কর্মকর্তা টাকা দিতে অস্বীকার করে উল্টো হুমকি দিতে থাকেন পরে তারা ডাকবাংলোর একটি কক্ষে ইয়াবা সেবন করে তারা এবং আমার ভাগ্নিকে জোর করে ইয়াবা সেবন করান। আমার ভাগ্নিকে সারারাত আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। শুক্রবার সকালে ৫ হাজার টাকা হাতে দিয়ে আমাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন এসআই সেকেন্দার ও এ,এস, আই মাজহারুল।

নির্যাতনের শিকার তরুণী বলেন, প্রতিবেশী খালার সঙ্গে তিনি সাটুরিয়া গিয়েছিলাম। তাদের সেদিনই ফিরে আসার কথা থাকলেও দুই পুলিশ কর্মকর্তা তাদের আটকিয়ে রাখেন। তারা অস্ত্রের মুখে মাদক সেবন করানোর পর ধর্ষণ করে। পরে রোববার মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।

সাটুরিয়া থানার ওসি আমিনুর ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে পুলিশ সুপার ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাদের কে সাটুরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করেছেন।

তবে এসআই সেকেন্দার হোসেন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এক নারী তার কাছে পাওনা টাকার জন্য সাটুরিয়া এসেছিলেন। তাকে কিছু টাকাও দেওয়া হয়েছে।

মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিম রবিবার রাতে বলেন, এঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলকে প্রধান করে একটি তদন্ত টিম করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ঘটনা প্রমাণিত হলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।  পুলিশ সদস্য হিসেবে তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯।
আরও পড়ুন:

সাটুরিয়ায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুলের গণসংযোগ

আরো পড়ুুন