ফাইল ছবি, মানিকগঞ্জ২৪.কম |
মানিকগঞ্জ২৪ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের
শিবালয় উপজেলার আরিচাঘাট এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে বিপদসীমার ৭২
সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
হচ্ছে পানি। ফলে
নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করার পাশা- পাশি নদী তীরবর্তী
বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা
দিয়েছে। তবে
বৃহস্পতিবার দুপর ১ টার দিকে যমুনায় নদীতে পানি স্তিতিশীল আছে বলে জানিয়েছেন পানি
উন্নয়ন বোর্ড।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শিবালয়ের আরিচা পয়েন্টের গেজ
রিডার (জিআর) মো. ফারুক
হোসেন বৃহস্পতিবার দুপুরে
জানান, মানিকগঞ্জের শিবালয়ের আরিচা পয়েনন্টে যমুনার
পানি বিপদসীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে দুপরে পানি বৃদ্ধি
স্থিতি আছে। সকালের পর আর বাড়েনি।
গত কয়েকদিন যমুনায় পানি বৃদ্ধির
পাওয়ায়, জেলার দৌলতপুর, সাটুরিয়া ও হরিরামপুর উপজেলার
বিভিন্ন ইউনিয়নের এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
অপরদিকে বুধবার দুপুরে পানি ঢুকে
পড়েছে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে। সেখানে
এখন হাটু সমান পানি। এতে
চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ সেবা গ্রহীতারা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক নাজমুছ
সাদাত সেলিম জানান, পানি
বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় মানিকগঞ্জের সার্বিক
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর
উপজেলার চরাঞ্চলের বেশির ভাগ বাড়িতেই
পানি উঠেগেছে।
বন্যাদুর্গত মানুষদের আশ্রয়ের
জন্য আশ্রয় কেন্দ্র
খোলা হয়েছে। বন্যার্তদের
জন্য দৌলতপুর, শিবালয় এব হরিরাপুর উপজেলার বন্যাদুর্গতদের জন্য মোট ২০ টন চাল এবং ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা টাকা
বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
কিন্তু এ ব্যাপারে সাটুরিয়া
উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ বসির উদ্দিন টান্ডু জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে সাটুরিয়ার ৩
টি ইউনিয়নে পানি বৃদ্ধির কারনে ২ শতাধিক ঘর বাড়ি নদী ভাঙ্গনের শ্বিকার হলেও
বৃহস্পতিবার সরকারী ভাবে সাহায্য সহযোগীতা আসে নি।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১৭ আগস্ট/
২০১৭।