মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ মানিকগঞ্জে শহরে নাগ জুয়েলার্সে ৭ শ ভরি স্বর্ণ ডাকাতির ঘটনায় লুট হওয়া মালা মাল উদ্ধার করতে না পারলেও ব্যবাসায়ীদের নিকট দুই কোটি চাঁদা দাবির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আওয়াল খানকে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল আব্দুল আওয়াল খানকে মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশের হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মানিকগঞ্জে ১৫ নভেম্বর সন্ধায় শহরের নাগ জুয়েলার্সে ককটেল ফুটিয়ে ও অস্ত্র দিয়ে জিম্মি করে ৭ শ ভরি স্বর্ণ লুট করে পালিয়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে স্বর্ণ শিল্পী সমিতির অভিযোগ করেন, গত ৮ নভেম্বর মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল আউয়াল ও এনএসআইয়ের সহকারী পরিচালক আসিফ হোসেন মানিকগঞ্জ স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঘুনাথ রায়কে ওই পুলিশ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে নেন। এরপর চোরাই ও ডাকাতির স্বর্ণ কেনাবেচাসহ অবৈধ ব্যবসার অভিযোগ এনে তাদেরকে ভয়ভীতি দেখান। এসব ঝামেলা এড়াতে তাদের কাছে দুই কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন ওই পুলিশের দুই কর্মকর্তা।
স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রঘুনাথ রায় বলেন, ৯ নভেম্বর আবারও ওই পুলিশ কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডেকে নেয়া হয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সভাপতি আতোয়ার রহমান তোতা ও আমাকে । সেখানে আমাদের নিকট একই অংকের টাকা দাবি করা হয়। পরে ওই দুই কর্মকর্তা চাঁদার পরিমাণ নামিয়ে ৭০ লাখ নির্ধারণ করে দেন।
পরে আমরা স্বর্ণশিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে এনিয়ে সভা করে দোকানপ্রতি দুই থেকে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা নির্ধারণ করা হয়। বেশ কিছু দোকান থেকে টাকা তোলা শুরু করি।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল আওয়ালকে পুলিশের হেডকোয়ার্টারে সংযুক্ত করা হয়েছে। তিন আরো বলেন, ঘটনার দিন পুলিশ এক ডাকাত কে পরে আরও ২ ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম কাজ করায় আমরা দ্রুত লুট হওয়া মালা মাল উদ্ধার ও বাকী ডাকাতদের আটক করতে সক্ষম হবে বলেও বলেন পুলিশের ঐ কর্মকর্তা।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২২ নভেম্বর/ ২০১৭।
আরও পড়ুন: