হরিরামপুরে এক ব্রীজে মৌমাছির ৫০টি চাক

হরিরামপুর প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জর হরিরামপুরে এক ব্রীজের নিচে মৌমাছির ৫০ টি চাকের খোজ মিলেছে। এক সাথে এতগুলি মৌমাছির চাক থাকায় প্রতিদিনই শত শত মানুষ দেখার জন্য ভীর করছেন। আর এ ব্রীজে প্রায় ১০ বছর ধরে সারা বছরই মৌমাছির চাক থাকে। বছরের অন্য সময় ২০-২৫ টি চাক থাকলেও শীতের সময় এর সংখ্যা বেড়ে যায়। চলতি সরিষা মৌসুমে ৫০টি চাক বসেছে হরিরামপুর- বলড়া সড়কের পিপুলিয়া নামক ব্রীজে।

হরিরামপুর উপজেলার বয়ড়া ইউনিয়নের আন্দার মানিক গ্রামের আবিদ হাসান আবিদ জানান, হরিরামপুর – বলড়া সড়কের পিপুলিয়া নামক স্থানের ৪৫ ফিট ব্রীজের নিচে সারা বছরই মৌমাছির চাক থাকে। চলতি বছর ৫০টি মৌমাছির চাক রয়েছে।

এ ব্যাপারে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জহিরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান. হরিরাপুর- বলড়া সড়কের পিপুলিয়া নামক ব্রীজে সারা বছরই মৌমাছি থাকে। এখানে মৌমাছির নিরাপদ আশ্রয় স্থল থাকায় এমনটি হয়েছে। মধু ও পানি পর্যাপ্ত থাকায় শীত মৌসুমে মৌমাছির চাকের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাছাড়া হরিরাপমুর ফয়জনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনের দেয়ালেও ১৯ টির মৌমাছির চাক রয়েছে। এখানকার মৌমাছিরা মানুষদের আক্রমণ না করায় উৎসুক জনতাও দুরদুরান্ত থেকে এক নজরে দেখার জন্য ভীড় করছেন।

হরিরামপুর উপজেলার বলড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তারেকুর রহমান তারেক জানান, পিপুলিয়া ব্রীজে মৌমাছিরা সারা বছরই বাসা বেধে থাকে। এ ব্রীজের নিচে পানি ও চর্তুদিকে বিভিন্ন শষ্য থেকে বছর জুড়েই খাবার থাকে বিধায় বেশী পরিমাণে মৌমাছি থাকে।  আমরা পরিষদ থেকে নিয়মিত মৌমাছির নিরাপত্তা দেওয়ার কারনেই সারা বছর মৌমাছির চাক থাকে।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২৯ জানুয়ারী/ ২০১৮।
আরও পড়ুন:

সাটুরিয়ার ছনকা বাজারে এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার উদ্ধোধন

আরো পড়ুুন