নবম ওয়েজবোর্ড গঠনের খবরে রাজধানীর বড় বড় হাউসের বড় বড় সাংবাদিকদের দিগন্তবিস্তৃত হাসি অবলোকন করছি।
কুলিন সাংবাদিকদের আনন্দের এই হাসি যেন হিমালয় থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত আছড়ে পরছে। এই হল ওয়েজবোর্ডমুদ্রার উজ্জ্বলতর পিঠ। ওয়েজবোর্ডমুদ্রার আর কোন পিঠ নেই। কিচ্ছু নেই।
অথচ মিডিয়ার দুটি পিঠ আছে তার একটি রাজধানী অন্যটি ঢাকার বাইরের। যাকে আজও মফস্বল বলে ডাকা হয়। বরাবরের মত এবারের ওয়েজবোর্ড গঠনের রাজফরমানে “মফস্বল সাংবাদিক”দের সম্পর্কে একটি শব্দও নেই। অতীতকালের ৮টি ওয়েজবোর্ডের একটিতেও মফস্বল তথা ঢাকার বাইরে কর্মরত সাংবাদিকদের সম্পর্কে একটি শব্দও ছিল না। এবারও নেই।
তাতে সাংবাদিক নেতা,সংগঠন কারও কোন শোকতাপ কিংবা ন্যূনতম “ইস্ ” আফসোসও নেই। কেউ একটি বারের জন্যও বলেনি মফস্বল সাংবাদিকদেরও ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনা হোক।
অথচ একটি সংবাদপত্রের, টেলিভিশনের প্রতিদিনের খবর, প্রতিবেদনের কমপক্ষে ৫০ভাগ খবরের যোগানদাতা ঢাকার বাইরের সাংবাদিকরা।
মিডিয়াহাউসগুলো ২হাজার,৩হাজার, ৫হাজার টাকায় ফুলটাইম কর্মচারীর মত খাটাচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে। কেউ কেউ পারলে ফ্রিতেও খাটায়। এদের জন্য কেউ ভাবে না,না সরকার না সাংবাদিক নেতারা।
বলবেন এই বেতন/ভাতায় এরা কাজ করে কেন? হ্যাঁ,যৌক্তিক প্রশ্ন, তবে অাড়ালে অনেক কারণ আছে। নিষ্ঠুর বাস্তব কারণ।
অনেক স্বপ্ন নিয়ে তারা আসে,বিশাল,চমক লাগানো মিডিয়া হাউসের জৌলুশ আর ঢাকার অফিসের রাজসিক বদনের বড় বড় পদধারীদের ভুবনভুলানো প্রতিশ্রুতিতে এরা প্রতারিত হয়।
সাংবাদিকতা করতে এসে পুলিশ,মাস্তান,চাঁদাবাজসহ চারপাশে তৈরি করে ফেলে অসংখ্য শত্রুপক্ষ। সাংবাদিকতা ছেড়ে এলাকায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে উঠে।সাহস থাকে না সরে যাবার। জীবন থেকে হারিয়েও যায় মূল্যবান সময়,তখন নতুন করে নতুন কিছু করার সাহসও থাকে না। আরও আছে, আজ এ পর্যন্তই থাকুক।
সাইফুদ্দিন আহমেদ নান্নু এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
মানিকগঞ্জ২৪/ ২৯ জানুয়ারী/ ২০১৮।
আরও পড়ুন: