এক ফেরিতেই সিরিয়ালের নামে মাসে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৬ শত টাকা বকশিষ আদায়

মানিকগঞ্জ২৪ প্রতিনিধিঃ দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশ পথ পাটুরিয়া – দৌলতদিয়া নৌরুটে শুধু মাত্র  খান জাহান আলী ফেরিতেই সিরিয়াল পরিচলনার নামে মাসে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৬ শত টাকা চালকদের নিকট থেকে বকশিষ আদায় করছে।

 সরেজমিনে সোমবার ( ৩ জুলাই)  দুপর ২ টার  দিকে খান জাহান আলীতে ফেরিতে গিয়ে এই অনিয়ম দেখা গেছে। প্রকাশ্যে যানবাহন চালকদের নিকট খেকে প্রতি গাড়ি থেকে ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

খান জাহান আলী ফেরিতে দেখা গেছে ট্রাক ও বাস চালকদের নিকট থেকে ১০ টাকা আদায় করছে। এ টাকার কোন রশিদ না দিলেও নাজেজাল ও লাঞ্চিত হওয়ার ভয়ে চালকরা এক প্রকার স্বেচ্ছায় দিচ্ছেন।

ফেরিতে টাকা উঠানো সাদেক আলী জানান, এ ফেরিতে প্রতি শিফটে ৭ জন করে ২১ জন লোক টাকা উঠাই।  আমরা প্রতি গাড়ী থেকে ১০ টাকা করে উঠাই। তিনি জানান এ ২৪ ঘন্টায় ২৪ টি সিংগেল ট্রিপ দেওয়া যায়। এতে শুধু বাস গেলে ১২ টি, ট্রাক গেলে ২২ টি এবং সব মিলিয়ে গড়ে ১৮ টি জানবাহন পারা পার হতে পাড়ে।

১৮ টি যানবাহন নিয়ে ২৪ সিংগেল  ট্রিপে খান জাহান আলী ফেরিতে মোট  ৪৩২ টি  যানবাহন পারা পার হয়। এতে ৪৩২ টি যানবাহন থেকে ১০ টাকা হারে প্রতিদিন ৪ হাজার ৩২০ টাকা আর মাসে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৬ শত টাকা আদায় করা হচ্ছে।

পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের সহকারী ব্যাবস্থাপক (বাণিজ্য) মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, বর্তমানে ছোট বড় মিলে ১৯ টি ফেরি চলাচল করছে। ফেরিতে গাড়ি সিরিয়াল নামে ১০ টাকা আদায় করা হয়েছে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের ম্যানেজার ( বাণিজ্য) মোঃ খুরশেদ আলম এ বিষয়ে জানান, ফেরিতে যানবাহন লোড ও আনলোডের সময় সিরিয়াল পরিচালনা করার সময় ১০ টাকা করে বকশিস নেন। তবে সব চালকরা টাকা দেন না।

হানিফ পরিবহনের চালক রহিম জানান, দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া উভয় ঘাটেই বাড়তি ১০ টাকা করে বকশিষ দিতে হয়। টাকা না দিলে ফেরি থেকে গাড়ি নামাতে দেরি করায়, তাই ঝামেলা এড়াতে টাকা দেই।

এ ব্যাপারে খান জাহান আলী ফেরির মাষ্টার বাবুল এ ব্যাপারে কথা বলতে চান নি।

আরো পড়ুুন