মানিকগঞ্জে গণপরিবহন নিয়ে ক্ষুব্ধ জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা

বিশেষ প্রতিবেদনঃ
নিম্নমানের পরিবহনসেবা,ফিটনেসবিহীন বাস চলাচল,অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে হাফ ভাড়া না নেয়ায় মানিকগঞ্জে গণপরিবহণের উপর ক্ষুব্ধ জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীরা।এলাকাবাসীর দাবি,ইতিপূর্বে জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।

ভূক্তভোগী সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঢাকাগামী রোডে ভালো কোন পরিবহন নেই।ফিটনেসবিহীন,ভাঙাচোরা গাড়ী,অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে চলছে পরিবহনসেবা।তারমধ্যে মরার খাড়ার ঘা হয়ে অধিক ভাড়া আদায় তো আছেই।কিছু বাস সার্ভিস এস.বি. লিংক,পদ্মা লাইন,ভিলেজ লাইন,যোগাযোগ ইত্যাদি বাহারি নাম ও টিকেট সিস্টেম চালু করে অধিক ভাড়া আদায়কে জায়েজ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বহুদিন ধরেই।অথচ এসব পরিবহণের সেবার মান লোকাল সার্ভিসের চেয়েও খারাপ।যাত্রী বাদুরঝোলা করে, পুরো বাস ভর্তি করে চলাচল করা সাধারণ ও নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার।

অধিক ভাড়া আদায় করা নিয়েও ক্ষুব্ধ জনসাধারণ।গনপরিবহণগুলো সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও বেশি ভাড়া আদায় করে।এ বিষয়ে এ রাস্তায় নিয়মিত চলাচলকারী আব্দুর রউফ জানান,”সেবার মান ও দূরত্বের তুলনায় এরা অতিরিক্ত বেশি ভাড়া আদায় করে।এদের সেবার মানও খুবই খারাপ।বাসে নেই কোন ফ্যান।গরমের দিনে এ বাসে চলাচল করা দুঃসাধ্য। অন্য কোন পরিবহন না থাকায় বাধ্য হয়েই এ পরিবহনে চলাচল করতে হয়।

এ সকল পরিবহণ সরকারী নির্দেশ অগ্রাহ্য করে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও পুরো ভাড়া নেয়।হাফ ভাড়া দিতে গেলে তারা শিক্ষার্থীদের সাথে দুর্ব্যবহার করে।
এমনকি গত সপ্তাহে ১ টাকার জন্য হাইস্কুল পড়ুয়া ৭ শিক্ষার্থীকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত জেলার এক শিক্ষার্থী বলেন,”বাড়ী থেকে কাছাকাছি হওয়ায় প্রতি সপ্তাহে আমি বাড়ীতে আসি।এমনকি মাঝে মাঝে বাড়ী থেকে ক্লাস করি।সবসময়ই আমাকে পুরো ভাড়া দিতে হয়।হাফ ভাড়া দিতে গেলে তারা দুর্ব্যবহার করে।উপরন্তু, এস.বি. লিংক আরো একধাপ এগিয়ে হাফ ভাড়া নিয়ে উপহাসস্বরুপ এক ভিন্নধর্মী আচরণ করে। আপনি যেখানেই যান ছাত্র হলে ৫ টাকা কম নেয়।সেটা আপনি সাটুরিয়া থেকে কালামপুরই যান আর গাবতলীই যান,ঐ ৫ টাকাই কম নেবে।আর ফিরতি পথে ঐ ৫ টাকাও কম নেয় না।এ বিষয়ে আমরা মানিকগঞ্জ জেলা সমিতি,জাবি শাখা থেকে মানিকগঞ্জ জেলা বাস-ট্রাক মালিক সমিতিকে অবহিত করেছি।তারা ব্যবস্থা না নিলে আমরা জেলা সমিতি থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ বিষয়ে আরো কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোন লাভ হয়নি।কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেও কোন লাভ হয়নি।শিক্ষার্থীরা যদি ক্ষোভের বশে এখন কোন কাজ করে বসে তবে তার দায়-দায়িত্ব অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

মানিকগঞ্জ২৪.কম/হে.উ./২৫ আগস্ট/২০১৭

আরো পড়ুুন