মানিকগঞ্জে অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি না কমায় দুর্ভোগ বাড়ছে

মোহাম্মদ হাসান ফয়জী: মানিকগঞ্জে চলতি বন্যায় যমুনা নদীতে সর্বোচ্চ
বিপদসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বৃহস্পতিবার সেখানে ১৬ সেন্টিমিটার
উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্রতিদিন যমুনায় নদীর পানি কমলেও অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি
না কমায় বানভাসিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
মানিকগঞ্জের ৬টি বন্যা কবলিত এলাকার অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি
বুধবার পর্যন্ত বাড়তে থাকলেও বৃহস্পতিবার সকালে অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন পানি
উন্নয়ন বোর্ড।
জেলার হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর থেকে এখনও নামেনি বন্যার
পানি। অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি না কমায় ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের মূলজান নামক স্থানে ফাটল
দেখা দিয়েছে। সেখানে তাৎক্ষণিক বালুর বস্তা ও বাঁশ দিয়ে ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা হয়েছে।

চলতি বন্যার পানি না কমায় কৃষকের সব আমন ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে।
মানিকগঞ্জের সব সবজির মাঠই এখন পানির নিচে। এতে দ্রব্য সামগ্রীর দামের উপর প্রভাব পড়ছে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক
আলিমু্জ্জামান মিঞা জানান, জেলার সকল কৃষকই ক্ষয় ক্ষতির শিকার হয়েছে। তাই আমরা কৃষকদের
ভাসমান সবজি ও আমনের বীজ তলা ফেলানোর জন্য উৎসাহিত করছি।

মানিকগঞ্জ
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, বন্যা কবলিত এলকায়
সরকারী পর্যাপ্ত ত্রাণ  ও নগদ টাকা বিতরণ করা
হয়েছে।  বুধবার জেলার শিবালয়  ও হরিরামপুর উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও
ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া  নিজেও ত্রাণ বিতরণ করেছেন এবং অতিরিক্ত আরও
বরাদ্দ দেওয়ার ঘোষনা নিয়ে দিয়েছেন।

মানিকগঞ্জ
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল হামিদ জানান, যমুনা নদীর পানি
কমতে থাকলেও পরবর্তী কয়েক দিন অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি বাড়তে থাকে। তবে
বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জের অভ্যন্তরীণ নদ নদীর পানি বাড়েনি ও কমেও নি। তাই আশা করা
যাচ্ছে পানি খুব দ্রুত নেমে যাবে।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শিবালয়ের আরিচার  গেজ রিডার (জিআর) মো. ফারুক হোসেন জানান, মানিকগঞ্জের আরিচা পয়েন্টে বৃহস্পতিবার বিপদসীমার ১৬
সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

মানিকগঞ্জ২৪/
হা.ফ/ ২৪ আগস্ট/ ২০১৭।

আরো পড়ুুন