সাটুরিয়ায় মরা মুরগির মাংস দিয়ে চপ তৈরির অভিযোগঃ প্রমাণ মিলেছে


 

ভাটারা বাজারের ছুরত আলীর বন্ধ দোকান

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, বিশেষ প্রতিনিধি: অবশেষে সাটুরিয়ায়
মরা মুরগির মাংস দিয়ে চপ তৈরির প্রমাণ মিলেছে। ভাটারা বাজারের বণিক সমিতি কমিটির সদস্যারা
শালিশে বসে মরা মুরগির মাংস দিয়ে চপ তৈরি অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে । পরে বালিয়াটী ইউপি
চেয়ারম্যান বিষয়টি সুরাহা করার জন্য সেই মাংস মেডিকেল পরীক্ষা করে আইনগত ব্যবস্থা
নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মানিকগঞ্জের
সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটী ইউনিয়নের ভাটারা

গ্রামের ছুরত
আলি
য়েক বছর রে ভাটারা বাজারে চানাচুর, চপ,
ঝাল মুড়ি বিক্রি করে আসছিল।
‌বিবা
সন্ধ্যায় বাজারের জিবর নামের
একজন ক্রেতা ভিযোগ রেন, ছুরত
আলি ভাটারার পাশের গ্রামে মরে যাওয়ার পর
ফেলে দেওয়া য়েকটি ব্রয়লার মুরগি কুঁ‌ড়িয়ে নিয়ে
এনে
তা
দিয়ে চপ তৈরি রে
বিক্রি করছে।

খবর পেয়ে
 
মূহুর্তের মধ্যে দোকানের মধ্যে মানুষ
জড়ো হয়
মরা
ব্রয়লার মুরগির মাংস দিয়ে আলুর তৈরি
রে বিক্রি
করার
ভিযোগে
সুতের দোকানের সব চপ
ফেলে দিয়ে
তার দোকানও বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা।
পরে দোকানদার ছুরত
আলি ও অভিযোগকারীদের নিয়ে ওই
এলাকায় মরা মুরগির মাংস দিয়ে চপ বিক্রির বিষয়টি নিয়ে শালিস বসে মঙ্গলবার  রাতে। সেখানে সাক্ষী প্রমাণের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা
পাওয়া যায়।
শালিসে প্রমাণিত হয় যে একই গ্রামের মোঃ আজাহার
উদ্দিনের ছেলে মোঃ বাদশা মিয়ার মুরগির খামারে রবিবার সকালে মুরগি মারা যায়। আর
সেই মুরগি ৯০ টাকা কেজিতে কিনে আনেন ছুরত আলি। আর সেই মরা মুরগির মাংস দিয়ে চপ তৈরি
করে বিক্রি করেছেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাইল হোসেন
জানান, অভিযুক্ত
ছুরত
আলি সালিশে  মরা মুরগির
মাংস দিয়ে চপ বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন।তবে,তাকে বন্ধ দোকান খুলতে বলা হয়েছে কিন্ত
মাংসের চপ বিক্রি করতে পারবে না এই শর্তে।
বুধবার বিকালে ভাটারা বাজারে গেলে মোঃ ফারুক হোসেন
জানান, আমি ওর দোকান থেকে নিয়মিত খাই এবং পরিবারের জন্য নিয়ে যাই। বিষয়টি নিয়ে ঘটনাটি
প্রশাসনকে অবগত করলেও কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় আমরা হতাশ।
এ ব্যাপারে উপজেলার বালিয়াটী দাখিল মাদ্রাসার সুপার
মাওলানা মোঃ লিয়াকত আলী জানান, মরা মুরগির মাংস দিয়ে চপ বিক্রি করে সে ক্রেতাদের সাথে
প্রতারণা করেছে।
এ ব্যাপারে বালিয়াটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান
ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রুহুল আমিন জানান, ভাটারা বাজারের ‍
ছুরত
আলি মরা
‍মুরগির মাংস দিয়ে চপ বিক্রি করা নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে আমি উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ও  থানা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে ছুরত
আলির নিকট সংরক্ষিত মুরগির মাংস পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মরা মুরগি প্রমাণিত
হলে তার বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার আইনে মামলা করা হবে।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হসপিটালের আবাসিক
মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ লুৎফর রহমান জানান, মরা মুরগির মাংস দিয়ে খাবার তৈরি করে
খেলে তার পেটের পীড়াসহ ফুডপয়জনিং রোগে আক্তান্ত হবে।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
মোঃ আমিনুর রহমান জানান, এমন অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনা স্থলে ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। কেউ এখনও
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নি। অভিযোগ  পেলে
ছুরত
আলিকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
বুধবার বিকাল ৫ টার দিকে ভাটারা বাজারে গিয়ে দেখা
যায়,
ছুরত
আলির দোকান বন্ধ। তার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২ আগস্ট/ ২০১৭।
আরো পড়ুুন