গাজী নদীর পাড়ে দুইটি ঘর দেখা যাচ্ছে। মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া ইউনিয়নের
বাছট গ্রামে এই হাফেজিয়া মাদ্রাসার টিনের ঘরটিতে ১৬/১৭ জন এতিম শিশু পবিত্র
কোরান মুখস্থ করে ।আধা পাকা ঘরটি মসজিদ,যেখানে পথচারী এবং শিশুরা পাচ
ওয়াক্ত নামাজ পরে।
মসজিদের লাগোয়া আমাদের পারিবারিক কবরস্থান,যেখানে আমারও
কবর হবে,ইনশাআল্লাহ।মসজিদে সালেহা বেগম পাঠাগার নামে আপাতত ছোট একটি
লাইব্রেরিও আছে।পাশেই গ্রামের মানুষের জন্য একটি বড় কবরস্থান।
আব্বা ব্রেইন
স্ট্রোক করে একদম বিছানায় পরে যাওয়ার পরে এলাকার মুরব্বীগণ আমাকে
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সেক্রেটারি নিযুক্ত করেছেন।এই মাদ্রাসার জন্যই
গত রবিবার ডিএমপির ডিসি (ডিবি- উত্তর) শেখ নাজমুল আলম ভাই উনার অফিসে ডেকে
নগদ ১৬,০০০/- (যোল হাজার) টাকা অনুদান দিয়েছেন।
আমি সেক্রেটারি হিসাবে
দায়িত্ব নিয়ে যে সব অনুদান সংগ্রহ করেছি,তার বেশির ভাগই এই ফেসবুকে পোস্ট
দিয়ে।আজকের পোস্টটা মূলত তাদের সবাইকে ধন্নবাদ দেয়ার জন্য।পকেটে টাকা হলে
আপনাদের সবাইকে এক বেলা ডালভাত খাওয়াতে বাসায় দাওয়াত দিবো।
সাথে আরেকটা
অনুরোধও করবো। আমি মারা গেলেও আপনারা সবাই এই মাদ্রাসাকে এগিয়ে
নিবেন,প্লিজ।শুধু দুইটা চক্র থেকে মাদ্রাসাকে নিরাপদে রাখবেন- এক
জামাত-শিবির,দুই সন্ত্রাসী জংগী।কারন এই দুই চক্রই ইসলামের জন্য সব চেয়ে
বেশি ক্ষতিকর।আল্লাহ্ সবাইকে হেদায়েন দিন,আমিন।
সাটুরিয়ার কৃতি সন্তান ও ইংরেজী জাতীয় পত্রিকা বাংলাদেশ পোষ্ট এর সিনিয়র ষ্টাফ রিপোটার (ক্রাইম) হাবিবুল্লাহ মিজান এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
মানিকগঞ্জ২৪/ ২৫ জুলাই/ ২০১৭।