শিবালয় প্রতিনিধি: জেলার শিবালয়ে দলীয় কোন্দলের জের ধরে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক লালন ফকিরসহ ২ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০ টার দিকে শিবালয় উপজেলা পোস্ট অফিস এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে সাভারে একটি প্রাইভেট হসপিটালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লালন ফকিরের ভাই বাদী হয়ে শিবালয় উপজেলা ভাইস চেয়ারমান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি আলী আহসান মিঠুসহ ১৮ জনের নামে মঙ্গলবার রাতেই শিবায়লয় থানায় মামলা করেছেন।
বিষয়টি শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান চলতি বছরে ২ মাস আগে শিবালয় উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এ কমিটি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য এএম নাঈমুর রহমার দুর্জয় এবং একই আসনের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম জাহিদ অনুসারীদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিলে। এ কমিটির জেড় ধরেই এ হামলা হতে পারে বলে ধারানা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ. কুদ্দুস জানান, উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক লালন ফকির ও সদস্য রাকিব হোসেন মঙ্গলবার রাতে মোটরসাইকেল যোগে তাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আসার পথে অতর্কিত হামলার শিকার হন।
স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় ওই দুই নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন জানান, এমন খবর পেয়ে রাতেই ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। পরে যুবলীগের আহবায়ক লালন ফকিরের বড় ভাই আ. হালিম বাদী হয়ে রাতেই থানায় ১৮ জন কে আসামী করে মামলা করেছেন। তবে সকাল পযন্ত কোন আসামী আটক করা যায় নি বলেও জানান পুলিশের ঐ কর্মকর্তা।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২৯ নভেম্বর/ ২০১৭।
আরও পড়ুন