মানিকগঞ্জ২৪ প্রতিনিধি: সাটুরিয়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী কে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সৌদি প্রবাসী আলী হোসেন এর বিরুদ্ধে। নির্যাতন থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আলীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করা হয়েছে। অপরদিকে স্বামী ও তার পরিবারের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন স্ত্রী মধুমালা।
এলাকাবাসী জানান, সাটুরিয়ার পানাইজুরী গ্রামের মঙ্গল আলীর ছেলে সৌদি প্রবাসী আলী হোসেন (৩৫) এর সাথে ১৭ বছর আগে শুটুরিয়া গ্রামের মৃত জলিল মিয়ার সাথে মধুমালার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দীর্ঘ দিনের সংসারে ১১ বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে।
আলী হোসেন বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে প্রায় মধুমালাকে মারধর করত। আর বিয়ের ১২ বছর পর সে সৌদিতে পাড়ি জমায়। দেশের বাইরে ৫ বছর থাকাকালীন আলী তার স্ত্রী ও সন্তান কে ভরণপোষন দিত না। এমনকি আলীর পরিবার মধুমালার উপর নির্যাতন করত টাকার জন্য।
চলতি বছরের শুরুতে আলী দেশে ফিরে এসে মধুমালার পরিবারের নিকট ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে । টাকা দিতে না পারায় আবার তার ওপর নির্যাতন চালায় আলী ও তার পরিবার।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মালেক এর কাছে বিচার চাইলে ৩০ জুলাই এ বিষয়ে গ্রাম্য শালিস বসে। সেখানে গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে মধুমালার চিকিৎসা করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয় স্বামী আলী কে। সুস্থ্য হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে শালিস সমাপ্ত করা হয়।
কিন্তু শালিসের দিনই আলী তার স্ত্রী মধুমালা, তার শাশুড়ী, শালাকে মারধর করে। পরে তাদের উদ্ধার করে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স-এ ভর্তি করা হয়।
এলাকায় বিচার না পেয়ে ৩০ জুলাই মধুমালার মা বাদী হয়ে প্রবাসী আলী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ৩৪৪/২০১৭ ।
বর্তমানে মধুমালা চিকিৎসা শেষে তার মার কাছে শুটুরিয়া গ্রামে আছে। কিন্ত সে এখনও আতংকের মধ্যে আছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলি হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায় নি।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ৭ আগস্ট/ ২০১৭।