সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ১৪ এপ্রিল: ৫০ হাজার টাকা না দিলে গ্রামের কবর স্থানে দাফন করতে দেওয়া হবে না। বাড়ির উঠানে মেয়ের মরদেহ রেখেছেন প্রায় ১৫ ঘন্টা। টাকার ব্যাবস্থা হচ্ছে না মরদেহ দাফনও করতে দিচ্ছে না কবরস্থান কমিটি। পরে বিষয়টি স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকীর নিকট জানালে তাৎক্ষনিত নারী দাফনের ব্যাবস্থা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের বরুন্ডী এলাকায়।
ঐ এলাকার মোসলেম মিয়ার স্ত্রী হনুফা বেগম। হুনুফার কন্যা লাবনী আক্তার (২৬)। তার মেয়ে স্বামীর সাথে আশুলিয়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। স্বামী ট্রাক চালান। শুক্রবার কিকালে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে লাবনী মা তাকে আশুলিয়া থেকে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথিমধ্যে তর অবস্থা আরো অবনতি হলে তাকে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক লাবনী কে মৃত ঘোষনা করলে মা হুনুফা তার নিজ গ্রাম সাটুরিয়ার বরুন্ডি গ্রামে নিয়ে আসে। মেয়ের জামাই জালাল হোসেন সাথে ছিলো।
শুক্রবার সন্ধায় লাবনীর গোসল ও জানাযা শেষে বরুন্ডি কবরস্থানে মরদেহ দাফনের সময় তাতে বাধা দেন গ্রামের লোকজন ও কবরস্থান কমিটি। দাফন করতে হলে কমিটিকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে বাধা দেন ঐ গ্রামের মবেদ আলীর ছেলে হাসেন মিয়া, হুসেন মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া।
এ ব্যাপারে হোসেন মিয়ার ছেলে নুরু মিয়া জানান, কবরস্থানের উন্নয়ন বাবদ এক গাড়ি ইট ক্রয় করে দিতে বলা হয়েছিল লাবনীর পরিবাবর কে। পরে মুরুব্বিরা নগদ টাকা চান।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী বলেন, দাফনের জন্য টাকার প্রয়োজন বিষয়টি প্রথমে শুনে আতকে উঠি। আমি সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে মোবাইলে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হই। পরে তার মাধ্যমে শনিবার সকাল ১০ টার দিকে লাবনরি দাফন সম্পন্ন হয়।
মানিকগঞ্জ২৪/ সাটুরিয়া/ হা.ফ/ ১৪ এপ্রিল ২০১৮।
আরও পড়ুন: