সাটুরিয়ার সেই ২ টন ওজনের ষাঁড় কেজি ধরে বিক্রি হবে

সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ২৮ জানুয়ারী:

জেলার সাটুরিয়া উপজেলার দড়গ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লি গ্রামের বিল্লাল মিয়ার সেই ২ টন ওজেনর ষাঁড় সিনবাদের মাংস কেজি ধরে বিক্রি করা হবে। আগামী শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ধুমধাম করে জবাই করে বিক্রি করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সিনবাদ নামের ষাঁড়টি। গেল দুই বছর ধরে ঈদুল আযহার কোরবানীর হাটে বিক্রির উপযোগী করলেও উপযুক্ত দাম না পাওয়ায় অবিক্রিত ছিল আলোড়ন সৃষ্টি কারী সিনবাদ নামের ষাঁড়টি।

এখনও ইউটিউব কিংবা ফেসবুকে সিনবাদ নাম লিখে সার্চ দিলে উঠে আসলে এ ষাঁড়টি। গেল বছর ২০১৯ সালের কুরবানীর হাটের সময় ষাঁড়টির ওজন ছিল ৫৪ মণ। এই সিনবাদই দেশের সবচেয়ে বেশী ওজনের ষাড় ছিল বলে জানিয়েছিল সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস।

সিনবাদের মালিক বিল্লাল মিয়া বলেন, সম্পুর্ণ দেশীয় পদ্বতিতে পরম যত্নে লালন পালন করেছিলাম এ ষাঁড়টিকে। কাচাঁ ঘাষ, গমের ভূসি, শুকনা খড়, ভুট্টা, ধান ও গম ভাঙ্গা, ছোলা, চিড়া, আখের গুর, মালটা, কলা, পেয়ারা, মিষ্টি লাউ, নালী খাওয়ানো হত। কিন্তু গেল বছর ঈদে বিক্রি না করতে পেরে লোকসানে পড়ে খাবার দাবার কমিয়ে দেই।

খামারী বিল্লাল আরো বলেন, আমি আমার সন্তানদের মত মমতা দিয়ে সিনবাদকে লালন পালন করেছি। ২০১৮ সালের ঈদুল আযহার আগে ওজন ছিল ৪০ মণ। বাড়ি থেকে প্রচুর ক্রেতা আসলেও উপযুক্ত দাম না পাওয়াতে বিক্রি করিনি। গেল ২০১৯ সালের ঈদেও হাটে ওজন ছিল ৫৪ মণ, কিন্তু  হাজার হাজার ফোন পেলেও বিক্রি করতে পারিনি। তবে বর্তমানে ওর ওজন কমে গেছে।

তাই সিন্ধান্ত নিয়েছি এটিকে আগামী (৩১ জানুয়ারী) শুক্রবার জবাই করে বিক্রি করব। দরগ্রাম ইউনিয়নের সাফুল্লি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সকাল ৭টার দিকে সিনবাদকে জবাই করব। ভাগা করে বিক্রি করব। দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে।  ১০ হাজার ও ৫ হাজার টাকার বিক্রি করব।  যারা ভাগা কিনবে তাদের জন্য সকালে খাসির কাচ্চি দিয়ে আপ্পায়ন করা হবে। বসার জন্য শত শত চেয়ারের ব্যাবস্থা করা হবে।

১০৫টি ভাগ করা হবে। মঙ্গলবার দুপুর ১ টা পর্যন্ত ৬০টি ভাগা ইতিমধ্যে বিক্রি হয়েছে। যদি কোন ব্যাক্তি এ ষাঁড়ের মাংস কিনতে চান খামারীর মালিক বিল্লাল মিয়ার মোবাইল নাম্বারে ০১৭২৬ ৬২২৫৭৩ যোগাযোগ করতে পারেন।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন ডা. মো. সেলিম জাহান বলেন, সিনবাদ ষাঁড়টি হলিস্টিন ফ্র্রিজিয়ান জাতের, ইদুল আযহার সময় উচ্চতা ছিল ৬ ফিট ৭ ইঞ্চি, দাঁত রয়েছে ৪ টি, বয়স ৪ বছর ৭ মাস। সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্বতীতে লালন পালন করা হয়েছে। আমরা ধারণা করছি ৫৪ মন ওঝনের ষাঁড়টি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ওজনের ষাঁড়। কিন্তু ঈদের পর এর ওজন অনেক কমে গেছে। খামারী আমাকে বলে গেছেন ষাঁড়টি আগামী শুক্রবার জবাই করে মাংস বিক্রি করবে। এত বড় ওজনের ষাঁড়টি ঈদের হাটে বিক্রি করতে না পারায় সে আর্থিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছেন। মাংস বিক্রি করতে পারলে লাভ না হলেও লগ্নিকৃত টাকা ফেরত আসতে পারে।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২৮ জানুয়ারী ২০২০।

আরো পড়ুুন