নেপালে বিমান দূর্ঘটনায় সাটুরিয়ার পুত্র বধু শশী নিহত

হাসান ফয়জী, মানিকগঞ্জ ১৩ মার্চ.

নিহত তাহরিয়া তানভির শশী

নেপালে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমান বন্দরে বিমান দুর্ঘনটায় নিহত তাহরিয়া তানভির শশী (২৭)  মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার পুত্রবধু ছিলেন। এ ঘটনায় তার স্বামী ডা. রেজওয়ানুল হক  (৩২) মারাত্ক আহত হয়েছে। বর্তমানে তিনি নেপালে ওম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছে। শশীর বাবার বাড়ীতে গেলে তার প্রতিবেশীরা জানায় তার মরদেহ আনার জন্য বাবা- মা সহ ৪ জন মঙ্গলবার সকালে নেপালে উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন।

ডা. রেজওয়ানুল হক এর গ্রামের বাড়ী উপজেলার গোপালপুর গ্রামে তার কেহ থাকেন না। বছরে দুই ঈদে বেড়াতে আসেন।

মানিকগঞ্জ শহরের দাশরার তাহরিয়া তানভির শশীর বাবার বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, শুনশান নিরবতা। তাদের ৩ তলা বাস ভবনে কাজের মেয়ে ছাড়া কেউ নেই। নিকট আত্বীয়রে কোন সংবাদ কর্মীর সাথে কথা বলা নিষেদ থাকায় সে ভিতর থেকে তালা দিয়ে রেখেছিল।
   
তবে মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে কথা হয় তাদের বাড়ীর ভাড়াটিয়া শাহাদাত হোসেনে সাথে। তিনি জানান, তাহরিয়া তানভির শশী ৬ বছর আগে পারিবারিক ভাবে উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ডা. মোহাম্মদ মুজাম্মেল হক এর পুত্র  ডা. রেজওয়ানুল হক  (৩২) এর সাথে বিয়ে হয়। এ দম্পতির ১৭ মার্চ বিবাহ বার্ষিকী উদযাপনের জন্য নেপালে যাচ্ছিলেন। শশী বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে অধ্যয়ন রত ছিলেন।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

শশীর বাবা ডা. রেজা মো. জামানের বাল্য বন্দু মো. আব্দুর রওফ দাশরা বাড়ীতে ছুটে আসেন। কিন্তু বাড়ীতে কেহ না থাকায় ফিরে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন শশীর বাবা সাটুরিয়া হসপিটালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সিলেন। তাদের বিবাহ জীবনের ১১ বছর পর শশী জন্ম নেন। এত অল্প বয়সে শশী অকাল মৃত্যু ওর বাবা- মা কিভাবে সহ্য করবে বুঝতে পারছি না।

শশীর দুসম্পর্কে কাকী রেবেকা ফেরদৌসি বলেন শশীর মরদেহ আনার জন্য ও বাবা- মা মঙ্গলবার সকালে নেপালে গিয়েছেন।

শশীর স্বামী ডা. রেজাওয়ানুল হক শাওনের মামা অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, শাওন তার স্ত্রী পরিবার নিয়ে শুধু দুই ঈদে বেড়াতে আসতেন গ্রামে। আগামী ১৭ মার্চ তাদের বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে এই দিনটি একটু আলাদাভাবে পালন করতে সোমবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা থেকে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে নেপালের কাঠমান্ডুতে যাচ্ছিলেন ওই দম্পত্তি। বিমান ল্যান্ড করার আগেই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান শশী। গুরুতর আহত হয়ে নেপালে ওম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন। শশীর পরিবারে সাথে শাওনের বাবা- মা নেপালে গিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

মানিকগঞ্জ২৪/ সাটুরিয়া/ হা.ফ/ ১৩ মার্চ/ ২০১৮।
আরও পড়ুন:

সাটুরিয়ায় মাহেন্দ্র চাকায় পিষ্ট হয়ে স্কুল ছাত্র নিহত

আরো পড়ুুন