প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় ধর্মীয় বিদ্বেষ

সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু: আমার
অভিজ্ঞতা আর পর্যবেক্ষণে দেখেছি
এই দেশে প্রতিমা ভাঙচুরের যত ঘটনা ঘটে
তার নেপথ্যে যতটা না থাকে ধর্মীয়
বিদ্বেষ, তার চেয়ে বেশী থাকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মনে ভীতি সঞ্চারের মতলব। এরা জানে ভয় জন্মাতে পারলে,এলাকা ছাড়া করতে পারলে পানির দরে সব কিনে নেয়া
যায়। ভীত সসন্ত্রস্থ সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি,জমিজমা গ্রাসই থাকে মূল লক্ষ্য।
আর সম্পদ,সম্পত্তি
গ্রাসের অকাঙ্ক্ষা তখনই জাগে যখন ক্রিমিনালদের সাহসের মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়ায় রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ক্ষমতার
ছায়াতলের আশ্রয় প্রশ্রয়।
অনেক ক্ষেত্রে রাজনৈতিক
গেমের
অংশ
হিসেবেও
প্রতিমা
ভাংচুরের
ঘটনা
ঘটানো
হয়।
ফলে
আড়ালে
থেকে
যায়
সব।
চলে
শুধু
ব্লেমগেম।
প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পরা দুএকজন ছাড়া বাকিরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
এই ঘৃন্য অপরাধের জন্য কারও সাজা হয়েছে বলেও শুনিনি। কেন অপরাধীরা সাজা পায়না,কেন থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে,সে এক রহস্য।
গত কদিনে গাজীপুরসহ
দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিমা ভাংচুর হয়েছে। এদের খুঁজে বের করা কি খুব কঠিন?
ঘৃন্য অপরাধীদের নেপথ্য প্রভুদের সামনে আনাও কঠিন কিছু না। আমরাও অনেক কিছু প্রকাশ করি না,চেপে রাখি।
এই
চেপে রাখা কার্যত অপরাধকে সহায়তা করা।

আসুন প্রতিরোধ করি সমাজ রাষ্ট্র আর মানবতার শত্রু
এসব দুষ্কর্মকারীদের। স্পষ্ট করে আঙুল তুলি দুষ্কৃতিদের প্রভুদের দিকে। সে প্রভু যেই
হোক,যারাই হোক। প্রতিবাদই প্রতিশেধক।

মানিকগঞ্জ২৪/
নান্নু/ ৯ অক্টোবর ২০১৮।

লেখা ও ছবি সাংবাদিক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু এর ফেসবুক নেওয়া।
আরও
পড়ুন:

মানিকগঞ্জে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব শিক্ষার্থীদের উপকারে আসছে না

আরো পড়ুুন