মোট ৬২৭৪ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে এবং ৩৫৫৮ জন পরীক্ষার্থী ফেইল করেছে।
জেলার মোট ২৭ টি কলেজ রয়েছে ।এর মধ্যে ৪ টি সরকারী কলেজ ও বাকী ২৩ টি বেসরকারী কলেজ।
মানিকগঞ্জ সদরের ৯ টি কলেজ থেকে মোট ৪৫৫৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩০৮৭ জন উত্তীর্ন হয়েছে পাশের হার ৬৭.৭১% ও মোট জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৪১ জন।
সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ থেকে ১৬০৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১৩২৭ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৮২.৫২% ও জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৩৮ জন। মানিকগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজ থেকে ১৩৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮৬২ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৪.৪২% ও জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৩ জন। বাকী কলেজগুলোর মধ্যে কেউ জি.পি.এ.-৫ পায়নি। এর মধ্যে আদর্শ কলেজ খাবাশপুর থেকে ২৭৮ জন অংশগ্রহণ করে ২৬৫ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৯৫.৩২%। রাজিবপুর আদর্শ কলেজ থেকে ১০২ জন অংশগ্রহণ করে ৬৫ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৬৩.৭৩%। রমজান আলী কলেজ,জয়রা থেকে ২৮ জন অংশগ্রহণ করে ১২ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৪২.৮০%।
গড়পাড়া হাফিজউদ্দীন কলেজ থেকে ৭৭ জন অংশগ্রহণ করে ৫০ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৬৪.৯৪%। খন্দকার দেলোয়ার হোসেন কলেজ থেকে ১৯৪ জন অংশগ্রহণ করে ৩৩ জন পাশ করেছে,পাশের হার ১৭.০১%। খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন কলেজ থেকে ৮৮৩ জন অংশগ্রহণ করে ৪৪৬জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫০.৫১% ও জরিনা কলেজ থেকে ৫১ জন অংশগ্রহণ করে ২৭ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫২.৯৪%।
সাটুরিয়া উপজেলার ৩ টি কলেজ থেকে মোট ১২২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৫৬৭ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৪৬.১৭% ও জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে মাত্র ১ জন। এর মধ্যে সরকারী ভিকু মেমোরিয়াল কলেজ,দরগ্রাম থেকে ৫৩৩ জন অংশগ্রহণ করে ২২৪ জন পাশ করেছে।পাশের হার ৪২.০৩% ও এ কলেজ জেলার সরকারী কলেজগুলোর মধ্যে একমাত্র জি.পি.এ.-৫ বিহীন কলেজ।সাটুরিয়া সৈয়দ কালু শাহ ডিগ্রী কলেজ থেকে ৬৮৯ জন অংশগ্রহণ করে ৩৪২ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৪৯.৬৪% ও উপজেলার একমাত্র জি.পি.এ.-৫ এ কলেজের দখলে।বালিয়াটী কলেজ থেকে ৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে মাত্র ১ জন পাশ করেছে,পাশের হার ১৬.৬৭%।
শিবালয় উপজেলার ৪ টি কলেজ থেকে মোট ৯৮২ জন অংশগ্রহণ করে ৯০৮ জন পাশ করেছে। জেলায় সর্বাধিক পাশের হার এ উপজেলায় এবং তা ৯২.৪৬% এছাড়া জেলার একমাত্র ০% পাশের হারের কলেজটিও এ উপজেলায়। এ উপজেলা থেকে জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৯ জন। এর মধ্যে শিবালয় সদরউদ্দীন কলেজ থেকে ৭৪৫ জন অংশগ্রহণ করে ৭০৩ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৯৪.৩৬%। উপজেলার ৯টি জি.পি.এ.-৫ ই এই কলেজের দখলে। মহাদেবপুর ইউনিয়ন কলেজ থেকে ১৯০ জন অংশগ্রহণ করে ১৬২ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৮৫.২৬%। রায়ান ইবনে রমজান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৪৫ জন অংশগ্রহণ করে ৪৩ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৯৫.৫৬%। অক্সফোর্ড একাডেমি থেকে মাত্র ২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও কেউ পাশ করতে পারেনি।
সিংগাইর উপজেলার ২টি কলেজ থেকে মোট ৮৪৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৬৬ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫৫.২১%। এ উপজেলা থেকে কেউ জি.পি.এ.-৫ পায় নি।সিঙ্গাইর কলেজ থেকে ৭২২ জন অংশগ্রহণ করে ৩৬৯ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫১.১১%। বায়রা কলেজ থেকে ১২২ জন অংশগ্রহণ করে ৯৭ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৭৯.৫১%।
দৌলতপুর উপজেলার ৩ টি কলেজ থেকে মোট ৫৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩০৪ জন পাশ করেছে।পাশের হার ৫৬.৫১% এবং এ উপজেলা থেকেও কেউ জি.পি.এ.-৫ পায় নি। মতিলাল কলেজ থেকে ৩৯২ জন অংশগ্রহণ করে ২২৯ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫৮.৪২%। বাঁচামরা বাঘুটিয়া চরকাটারী কলেজ থেকে ৬৪ জন অংশগ্রহণ করে ৩৯ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৬০.৯৪%।তালুকনগর কলেজ থেকে ৮২ জন অংশগ্রহণ করে ৩৬ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৪৩.৯০%।
ঘিওর উপজেলার ৩টি কলেজ থেকে ৭৪৮ জন অংশগ্রহণ করে ৩৯৫ জন পাশ করেছে।পাশের হার ৫২.৮১% ও জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৩ জন। এর মধ্যে সরকারী ঘিওর কলেজ থেকে ৬৩৪ জন অংশগ্রহণ করে ৩১৭ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৫০.০০%।উপজেলার ৩ টি জি.পি.এ.-৫ ই এই কলেজের দখলে।এছাড়া তেরশ্রী কলেজ থেকে ৮৭ জন অংশগ্রহণ করে ৬৩ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৭২.৪১%। ডা.আব্দুর রহিম খান মহিলা কলেজ থেকে ২৭ জন অংশগ্রহণ করে ১৫ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫৫.৫৬%।
হরিরামপুর উপজেলার ৩ টি কলেজ থেকে মোট ৯৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৫৪৭ জন পাশ করেছে।পাশের হার ৫৮.৬৩% ও জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৩ জন। এর মধ্যে ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজ থেকে ৪৭৬ জন অংশগ্রহণ করে ২২৫ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৪৭.২৭%।উপজেলার ৩টি জি.পি.এ.-৫ ই এই কলেজের দখলে। এছাড়া,বিচারপতি নুরুল ইসলাম কলেজ থেকে ২৩০ জন অংশগ্রহণ করে ১৮৫ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৮০.৪৩%।এম.এ. রউফ কলেজ থেকে ২২৭ জন অংশগ্রহণ করে ১৩৭ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৬০.৩৫%।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার জানান, এ জেলায় ৫৭ টি জিপিএ- ৫ পেয়েছে তা খুবই হতাশা জনক। রবিবার ফল প্রকাশ হয়েছে আমরা ফলাফল পর্যবেক্ষণ করছি। পরে এ বিষয়ে জেলার ৭টি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে বসব।
মানিকগঞ্জ২৪.কম/হে.উ./২৩ জুলাই/২০১৭