মানিকগঞ্জে এইচ, এস, সি পরীক্ষায় জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৫৭ , পাশের হার ৬৩.৮২%

 এস, কে , এম হেদায়েত উল্লাহ্: মানিকগঞ্জে এইচ, এস, সি পরীক্ষায় জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে মাত্র ৫৭ জন শিক্ষার্থী আর পাশের হার ৬৩.৮২%। জেলার ৭টি উপজেলার ২৭ টি কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এইচ.এস.সি. পরীক্ষায় মোট ৯৮৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে
মোট ৬২৭৪ জন পরীক্ষার্থী পাশ করেছে এবং ৩৫৫৮ জন পরীক্ষার্থী ফেইল করেছে।

 জেলার  মোট ২৭ টি কলেজ রয়েছে ।এর মধ্যে ৪ টি সরকারী কলেজ ও বাকী ২৩ টি বেসরকারী কলেজ।

মানিকগঞ্জ সদরের ৯ টি কলেজ থেকে মোট ৪৫৫৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩০৮৭ জন উত্তীর্ন হয়েছে পাশের হার ৬৭.৭১% ও মোট জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৪১ জন।

 সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ থেকে ১৬০৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১৩২৭ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৮২.৫২% ও জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৩৮ জন। মানিকগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজ থেকে ১৩৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮৬২ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৪.৪২% ও জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৩ জন। বাকী কলেজগুলোর মধ্যে কেউ জি.পি.এ.-৫ পায়নি। এর মধ্যে আদর্শ কলেজ খাবাশপুর থেকে ২৭৮ জন অংশগ্রহণ করে ২৬৫ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৯৫.৩২%। রাজিবপুর আদর্শ কলেজ থেকে ১০২ জন অংশগ্রহণ করে ৬৫ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৬৩.৭৩%। রমজান আলী কলেজ,জয়রা থেকে ২৮ জন অংশগ্রহণ করে ১২ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৪২.৮০%।

গড়পাড়া হাফিজউদ্দীন কলেজ থেকে ৭৭ জন অংশগ্রহণ করে ৫০ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৬৪.৯৪%। খন্দকার দেলোয়ার হোসেন কলেজ থেকে ১৯৪ জন অংশগ্রহণ করে ৩৩ জন পাশ করেছে,পাশের হার ১৭.০১%। খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন কলেজ থেকে  ৮৮৩ জন অংশগ্রহণ করে ৪৪৬জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫০.৫১% ও জরিনা কলেজ থেকে ৫১ জন অংশগ্রহণ করে ২৭ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫২.৯৪%।

সাটুরিয়া উপজেলার ৩ টি কলেজ থেকে মোট ১২২৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৫৬৭ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৪৬.১৭% ও জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে মাত্র ১ জন। এর মধ্যে সরকারী ভিকু মেমোরিয়াল কলেজ,দরগ্রাম থেকে ৫৩৩ জন অংশগ্রহণ করে ২২৪ জন পাশ করেছে।পাশের হার ৪২.০৩% ও এ কলেজ জেলার সরকারী কলেজগুলোর মধ্যে একমাত্র জি.পি.এ.-৫ বিহীন কলেজ।সাটুরিয়া সৈয়দ কালু শাহ ডিগ্রী কলেজ থেকে ৬৮৯ জন অংশগ্রহণ করে ৩৪২ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৪৯.৬৪% ও উপজেলার একমাত্র জি.পি.এ.-৫ এ কলেজের দখলে।বালিয়াটী কলেজ থেকে ৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে মাত্র ১ জন পাশ করেছে,পাশের হার ১৬.৬৭%।

শিবালয় উপজেলার ৪ টি কলেজ থেকে মোট ৯৮২ জন অংশগ্রহণ করে ৯০৮ জন পাশ করেছে। জেলায় সর্বাধিক পাশের হার এ উপজেলায় এবং তা ৯২.৪৬% এছাড়া জেলার একমাত্র ০% পাশের হারের কলেজটিও এ উপজেলায়। এ উপজেলা থেকে জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৯ জন। এর মধ্যে শিবালয় সদরউদ্দীন কলেজ থেকে ৭৪৫ জন অংশগ্রহণ করে ৭০৩ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৯৪.৩৬%। উপজেলার ৯টি জি.পি.এ.-৫ ই এই কলেজের দখলে। মহাদেবপুর ইউনিয়ন কলেজ থেকে ১৯০ জন অংশগ্রহণ করে ১৬২ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৮৫.২৬%। রায়ান ইবনে রমজান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ৪৫ জন অংশগ্রহণ করে ৪৩ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৯৫.৫৬%। অক্সফোর্ড একাডেমি থেকে মাত্র ২ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও কেউ পাশ করতে পারেনি।

সিংগাইর উপজেলার ২টি কলেজ থেকে মোট ৮৪৪ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪৬৬ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫৫.২১%। এ উপজেলা থেকে কেউ জি.পি.এ.-৫ পায় নি।সিঙ্গাইর কলেজ থেকে ৭২২ জন অংশগ্রহণ করে ৩৬৯ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫১.১১%। বায়রা কলেজ থেকে ১২২ জন অংশগ্রহণ করে ৯৭ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৭৯.৫১%।

দৌলতপুর উপজেলার ৩ টি কলেজ থেকে মোট ৫৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৩০৪ জন পাশ করেছে।পাশের হার ৫৬.৫১% এবং এ উপজেলা থেকেও কেউ জি.পি.এ.-৫ পায় নি। মতিলাল কলেজ থেকে ৩৯২ জন অংশগ্রহণ করে ২২৯ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫৮.৪২%। বাঁচামরা বাঘুটিয়া চরকাটারী কলেজ থেকে ৬৪ জন অংশগ্রহণ করে ৩৯ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৬০.৯৪%।তালুকনগর কলেজ থেকে ৮২ জন অংশগ্রহণ করে ৩৬ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৪৩.৯০%।

ঘিওর উপজেলার ৩টি কলেজ থেকে ৭৪৮ জন অংশগ্রহণ করে ৩৯৫ জন পাশ করেছে।পাশের হার ৫২.৮১% ও জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৩ জন। এর মধ্যে সরকারী ঘিওর কলেজ থেকে ৬৩৪ জন অংশগ্রহণ করে ৩১৭ জন পাশ করেছে, পাশের হার ৫০.০০%।উপজেলার ৩ টি জি.পি.এ.-৫ ই এই কলেজের দখলে।এছাড়া তেরশ্রী কলেজ থেকে ৮৭ জন অংশগ্রহণ করে ৬৩ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৭২.৪১%। ডা.আব্দুর রহিম খান মহিলা কলেজ থেকে ২৭ জন অংশগ্রহণ করে ১৫ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৫৫.৫৬%।

হরিরামপুর উপজেলার ৩ টি কলেজ থেকে মোট ৯৩৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৫৪৭ জন পাশ করেছে।পাশের হার ৫৮.৬৩% ও জি.পি.এ.-৫ পেয়েছে ৩ জন। এর মধ্যে ঝিটকা খাজা রহমত আলী কলেজ থেকে ৪৭৬ জন অংশগ্রহণ করে ২২৫ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৪৭.২৭%।উপজেলার ৩টি জি.পি.এ.-৫ ই এই কলেজের দখলে। এছাড়া,বিচারপতি নুরুল ইসলাম কলেজ থেকে ২৩০ জন অংশগ্রহণ করে ১৮৫ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৮০.৪৩%।এম.এ. রউফ কলেজ থেকে ২২৭ জন অংশগ্রহণ করে ১৩৭ জন পাশ করেছে,পাশের হার ৬০.৩৫%।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার জানান, এ জেলায় ৫৭ টি জিপিএ- ৫ পেয়েছে তা খুবই হতাশা জনক। রবিবার ফল প্রকাশ হয়েছে আমরা ফলাফল পর্যবেক্ষণ করছি। পরে এ বিষয়ে জেলার ৭টি উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নিয়ে বসব।

মানিকগঞ্জ২৪.কম/হে.উ./২৩ জুলাই/২০১৭

আরো পড়ুুন