মানিকগঞ্জ২৪ প্রতিনিধিঃ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজের করার ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কাজের ইস্টেম অনুযায়ী টিন, কাঠ, রং, আস্তর কোন কিছুই সিডিউল অনুযায়ী ব্যবহার হয়নি।
তারপরও উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন ভালো কাজ হয়েছে। ঠিকাদারকে ইতিমধ্যে বিলও মিটিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে সং¯িøস্টরা বলছেন ২৮ ভাগ লেসের কাজে ফাঁকিবাজি হবে না তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। প্রশ্ন উঠেছে ঠিকাদার যদি ২৮ ভাগ লেসে কাজ নিয়ে সিডিউল অনুযায়ী কাজ করেই থাকে তা হলে কি ভাবে ওই প্রাক্কলন করলেন প্রকৌশলী।
বিদ্যালয়ের সংস্কারের কাজে অভিযোগ বিষয়ে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করলে, এ বিষয়ে কোন তথ্য দিতে তারা রাজি হননি। পরে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার ১৫ দিন পর তারা তথ্য সরবরাহ করেন। এতে দেখা যায় বলিয়াটি সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯০ ফুট দীর্ঘ ও ২৭ ফুট চওড়া ১ নং সেমিপাকা ভবনটিতের রয়েছে ছয়টি ক্লাসরুম। দীর্ঘদিন মেরামত না করায় ব্যবাহারের অনুপযোগী। তবে মেরামত করলে ব্যবহার করা যাবে। সে অনুযায়ী টিনের চালা পরিবর্ত করে সব নতুন টিন ব্যবহার, স্টিল ট্রাস, তরজা সিলিং ,ফ্লোর পেটেন্ট ষ্টোন, আংশিক প্রাস্টার, দরজা জানালা পরিবর্তন, ভিতরে প্রাষ্টিক পেইন্ট, এবং বাউন্ডারীসহ ভবন রং করার প্রাক্কলন করা হয়।
এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ১২ লাখ, ৫১ হাজার ২২৩ টাকা। গত মার্চ মাসে টেন্ডার অনুষ্টিত হয়। প্রাক্কলিত মুল্যের ২৮ শতাংশ লেসে কাজটি পায় মেসার্স হেলাল তালুকদার। কাজ শেষ করে গত জুন মাসে তিনি বিল উত্তোলন করে নেন। কাজের ওর্য়াকার অনুয়াযী ঠিকাদার নিজে কাজ করার কথা থাকলেও ঠিকাদার ঝন্টু কাজ না করে বাইরের এক সাব ঠিকাদার দিয়ে কাজ করান।
সরেরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কাজে অনিয়ম করা হয়েছে। চালায় সব নতুন টিন দেয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশই ব্যবহার করা হয়েছে আগের পুরানো টিন। যে নতুন টিন দেয়া হয়েছে সেগুলিও পুরুত্বে কম। ৮ ফুট দৈর্ঘের টিনের স্থলে লাগানো হয়েছে ৭ ফুট ও ৬ ফুট টিন। ৬ মিলিমিটার স্টীল ট্রাসের স্থলে ব্যবহার করা হয়েছে ৫ মিলিমিটার। দরজা , জানালায় সিজন করা পাঁকা মেহগনি ও শিশু কাঠ ব্যবাহারের কথা থাকলেও ব্যবহার করা হয়েছে আকাঠা নিম্নমানের কাঠ। ক্লাসরুমে গর্জন কাঠের ফ্রেমে সিলিং করার নির্দেশনা থাকলেও কোন কাঠ ব্যবহার করা হয়নি।
বারান্দাতে সিলিং ধরা থাকলেও না করেই পুরো বিল দেয়া হয়েছে। দরজা, জানালা, ও সিলিং এ উন্নত মানের প্রাষ্টিক পেইন্টের দুই কোট দেয়ার কথা থাকলেও কোন রকমে শেষ করা হয়েছে। ফ্লোরের প্যাটেন্ট স্টোন করা হয়েছে অপর্যাপ্ত সিমেন্ট এবং চিপস দিয়ে। আর এই কাজে সার্টিফিকেট দিয়েছেন সার্ভেয়ার ও এসও মোঃ আশরাফ।
কাজের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মফিজউদ্দিন বাবলু বলেন কাজ ভালো হয়েছে। কাজের মানে সন্তুষ্ট হয়েই ঠিকাদারকে বিল দেয়া হয়েছে। তবে এরপরও যদি কোন সমস্যা হয় ঠিকাদারের জামানত থেকে সে কাজ করিয়ে নেয়া হবে। এব্যাপারে ঠিকাদার হেলাল তালুকদার ঝন্টু দাবি করেন সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। যে কারনে তাকে বিল দেয়া হয়েছে। তবে তিনি নিজে এ কাজ না করে অন্যকে দিয়ে কাজ করার কথা স্বীকার করেন।
ব্যবসায় সমস্য হতে পারে এই ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক ঠিকাদার বলেন ২৮ পার্সেন্ট লেসে কোন ভাবেই সিডিউল অনুযায়ী কাজ করা সম্ভব নয়। আমরা অফিস কে কাজ বুঝিয়েই ত বিল উঠিয়েছি। সংস্কার কাজ ভাল না হলেও ত বিল পেতাম ন।