ভর্তি পরীক্ষাঃসফলদের পেছনের গল্প ও সাক্ষাৎকার-৪

এস.কে.এম. হেদায়েত উল্লাহ্ঃ
ফারজানা লিজা।মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার মেয়ে।তবে,ছেলেবেলা থেকেই বেড়ে ওঠেছেন ঢাকা শহরে।শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেছেন।এখন পড়ছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে।তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবন ও সাফল্যের গল্প শোনাতে এবং মানিকগঞ্জের শিক্ষার্থীদের দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য মুখোমুখি হয়েছিলেন মানিকগঞ্জ২৪.কমের।

-কেমন আছেন?
-আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

-বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেমন কাটছে?
-খুবই চমৎকার!

-দেশের অন্যতম সেরা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন।অনুভূতি কেমন?
-অনুভূতি খুবই ভালো।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ পড়তে পারা আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।একবড় ভাই বলেছিলেন,”জাহাঙ্গীরনগরে যারা চান্স পায় তারা মেধাবী কিনা তা ঠিক বলতে পারবো না।তবে,জাহাঙ্গীরনগরে যারা চান্স পায় তারা ভাগ্যবান এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।”  ভাইয়ের এই কথাটাই অনুভূতি বোঝানোর জন্য যথেষ্ট।

-ভর্তি পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নিয়েছেন?
-ভর্তি পরীক্ষার জন্য কলেজ থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি।তখন থেকেই টুকটাক পড়াশুনা করতাম।

-মানিকগঞ্জ থেকে অপেক্ষাকৃত অনেক কম ছেলেমেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেলে চান্স পায়।আপনার মতে এর কারণ কি?
-মানিকগঞ্জ এ স্কুল কলেজ অনেক কম, বিশেষ করে ভালো কলেজ। ঢাকার  নিকটবর্তী হওয়া সত্ত্বেও পর্যাপ্ত  সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত।সেটা সকল দিক থেকেই।

-এ থেকে উত্তরণের উপায় কি বলে আপনি মনে করেন?
শিক্ষক-অভিভাবকদের আরো সচেতন হতে হবে।শিক্ষিত সম্প্রদায়কে শিক্ষার্থীদের সাহায্য করতে হবে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে। জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। কলেজের সংখ্যা বাড়াতে হবে।এর জন্য রাজনীতিবিদদেরও সাহায্য দরকার।

-ভর্তি পরীক্ষার জন্য কীভাবে প্রস্তুতি নেয়া উচিত?
-শিক্ষার্থীদের কলেজের প্রথম থেকেই নিয়মিত পড়াশুনা করা উচিত । আপডেটেড থাকতে হবে সাম্প্রতিক সময় সম্পর্কে। কলেজের পড়ার পাশাপাশি ভর্তি পরীক্ষার জন্য পড়া উচিত প্রথম থেকেই।

-এক্ষেত্রে অভিভাবকদের ভূমিকা কেমন হওয়া উচিত?
-অভিভাবকদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে যে তার সন্তান কোথায় সময় ব্যয় করছে, ঠিকমতো পড়াশুনা করছে কিনা।তার কোন বিষয়ে ঘাটতি আছে।কি লাগবে। কাদের সাথে সে মিশছে।কি করছে।মোটকথা,সন্তানের সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখতে হবে ও পাশে থাকতে হবে।

-বর্তমান সময়ে প্রতিটি অভিভাবকই সন্তানকে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দেখতে চায়।বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
-ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হওয়াটাই জীবনের মূল সফলতা না। নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চটুকু অর্জন করাটাই সফলতা।অবশ্যই শিক্ষার্থীদের নিজেদের পছন্দকে গুরুত্ব দেয়া উচিত নিজেদের ক্যারিয়ার নির্বাচনে।

-একজন শিক্ষার্থীর কেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া উচিত।জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আপনার মন্তব্য কি?
-কেউ যদি নিজের সৃজনশীলতা ফুটিয়ে তুলতে চায়,একজন বিজ্ঞানী  ও গবেষক হতে চায় তবে  তার জন্য  জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অন্যতম বিষয় হতে পারে।

-ভর্তি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কোন কথা?
-শিক্ষার্থীদের এটাই  বলব, নিজের স্বপ্নকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তার সর্বোচ্চটুকু করা উচিত। সবকিছুর আগে নিজের স্বপ্ন, নিজের ক্যারিয়ার।

-আপনার মূল্যবান সময় দেয়ার জন্য মানিকগঞ্জ২৪.কমের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ।
-আপনাকেও ধন্যবাদ।

মানিকগঞ্জ২৪.কম/এস.কে./২৮মে/২০১৮

আরো পড়ুুন