পাটুরিয়া- দৌলতয়িায় ঈদে ঘরমুখী যানবাহন পারা পারের জন্য ৫৫০ জন আইন শৃংখলা বাহিনীসহ প্রস্তুত বিআইডব্লিউটিসি
দেশের দক্ষিন – পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশ পথ পাটুরিয়া- দৌলতয়িা ফেরি দিয়ে ঈদে ঘরমুখী যানবাহন পারা পারের জন্য সব ধরনের প্রস্ততি শেষ করেছেন বিআইডব্লিউটিসি। এ সময় যানজট এড়াতে, চুরি ছিনতাই রোধে, অজ্ঞান ও মলম পার্টিসহ আইন শৃংখলা সাভাবিক রাখতে ৫৫০ জন পুলিশ সদস্য এ নৌরুটে নিয়োজিত থাকবে।
এ নৌরুট দিয়ে ২১ টি জেলার ১৬ রোজা থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ১৬ হাজার যানবাহনে প্রায় ২০ লক্ষ লোক পার হবে। অপর দিকে বর্তমানে ১৫ টি ফেরি চলাচল করলেও ঈদের মৌসুমে ১৯ টি ফেরি চলবে।
এ নৌরুট কে নিরাপদে যানবাহন পারা পারের জন্য, বিআইডব্লিউটিসি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার এবং বিআরটিএ পৃথক প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষ করেছেন।
দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের ২১ টি জেলার ঈদে ঘরমুখী মানুষদের নির্বিগ্নে পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া ফেরি দিয়ে পারা পার করতে ফেরির যান্ত্রিক বিঘœ ঘটলে তাৎক্ষনিত ভাবে ভাসমান ফেরি মেরামত কারখানা প্রস্তুত রেখেছেন বিআইডব্লিউটিসি ।
পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা য়ায়, পাটুরিয়ায় যানবাহন পারা পার করতে ৪ টি ঘাট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নদী স্বাভাকি থাকলে তেমন কোন যানজট দেখা দিচ্ছে না। তবে এই নৌরুটে ২০ রমজানের পর থেকে যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। এর মধ্যে সোমবার সকাল থেকে নিম্ন চাপের কারনে প্রচন্ড বাতাসে নদী উত্তাল থাকাতে পাটুরিয়া – দৌলতদিয়া নৌরুটে বড় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এতে দুই পারে দিনভর প্রচন্ড যানজটের শিকার হয় যাত্রীবাহি বাস ও অন্যান্য পরিবহনের যাত্রী ও শ্রমিকদের। ঈদের সময় এমন প্রাকৃতিক দুযোর্গ না আসলে তেমন বেঘ পেতে হবে না বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে মানিকঞ্জ পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, যানজট এড়াতে, চুরি ছিনতাই রোধে, অজ্ঞান ও মলম পার্টিসহ আইন শৃংখলা সাভাবিক রাখতে ৫৫০ জন পুলিশ সদস্য এ নৌরুটে নিয়োজিত থাকবে। ফেরিগুলি ভাল করে পারফর্ম করতে পারলে ও দৌলতদিয়ায় ঘাট উপযুক্ত থাকলে ২১ টি জেলার মানুষ চাঁদ রাতেই বাড়ি পৌছে সকালে ঈদের নামজ নিজ এলাকয় পড়তে পারবে।
এ ব্যাপারে ফেরি যাত্রী ময়নুল হোসেন জানান, গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জ হয়ে পাটুরিয়া ঘাট পর্যন্ত ৪ লেন সড়ক করলে অনেকটা যানজট কম থাকবে। এ যাত্রী দ্রুত এ নৌরুটে ২য় পদ্ধা সেতু নির্মাণের দাবী করেন।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক নাজমুছ সাদাত সেলিম জানান, পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে আমাদের একাধিক টিম নিয়োজিত থাকবে। ইতিমধ্যে আমরা সংস্লিষ্ট সকল দপ্তরের সাথে মিটিং করে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ বিআরটি এ সহকারী পরিচালক ( ইঞ্জিন) প্রকৌশলী মোবারক হোসেন জানান, ফিটনেস বিহীন যানবাহন যেন ঈদে ঘুরমুখী যাত্রী তুলে মহাসড়কে বিরম্বনায় না ফেলে তার জন্য আমাদের ৩ টি টিম সার্বক্ষনিক মহাসড়কে নিয়েজিত থাকবে।
এ ব্যাপারে রবিবার পাটুরিয়া ফেরি ঘাট এাকায় ফেরি পারে অপেক্ষায় ট্রাক চালক সালাম জানান, এখন কোন যানবাহনের চাপ নেই, সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারলাম,কিন্তু ২০ রমজানের আগেই পরিবহনের চাপ বেড়ে যাবে । ইদের আগে আমাদের মাঝে মাঝে ২- ৩ দিন ঘাট এলাকায় সিরিয়ালের অপেক্ষায় থাকতে হয়।
এ ব্যাপারে রাজবাড়ির জেলার মামুন জানান, ইদের সময় বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ যদি সিরিয়াল সঠিক ভাবে পরিচালনা করত তাহলে অনেকটা যানজট কম থাকত।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির পাটুরিয়া ফেরি ঘাটের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক ( বাণিজ্য) মোঃ জিল্লুর রহমান জানান, বর্তমানে ১৫ টি ফেরি চলাচল করলেও ঈদের মৌসুমে ১৯ টি ফেরি চলবে এই নৌরুটে। হঠাৎ করে ফেরির যান্ত্রিক বিগ্ন ঘটলে তাৎক্ষনিত ভাবে ভাসমান ফেরিতে মেরামত কারখানা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঈদের সময় ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ নদী নাব্যতা এবং প্রাকৃতিক কোন দুর্যোগ না হলে ঈদে ঘরমোখো লাখো মানুষকে সুন্দর একটি ঈদ উপহার দিতে পারবেন বলেও জানান বিআইডব্লিউটিসির ঐ কর্মকর্তা।
সকল বাধা বিপত্তি এড়িয়ে নারীর টানে ২১ টি জেলার মানুষ চাঁদ রাতেই নিরাপদে বাড়ী ফিরতে পারবে এমন প্রস্তুতিই শেষ করছেন বিআইডব্লিউটিসির সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর। তবে এ নৌরুটে বিআইডব্লিউটিসির সিরিয়ালে অনিয়ম এবং প্রাকৃতিক দোর্যোগ না আসলে ফেরি পারা পারে যেন কোন বিঘœ ঘটবে না এমনই আশা করছেন সাধারণ যাত্রী ও হাজার হাজার পরিবহন শ্রমিকরা।