সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ২০ মে: স্বামীর অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেতে আমেনা আক্তার (২৩) নামের এক গৃহিনী এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ মাতাব্বরের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পায়নি। পরে আদালতে আইনের আশ্রয় নেয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য থানায় পাঠালে মামলার আয়ু বাদীকে মামলা তুলে নেবার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আয়নাল হকের মেয়ে আমেনা আক্তার (২৩) এর সাথে একই ইউনিয়নের শালুয়াকান্দি গ্রামের আবু বক্কর (আঙ্গুর) মিয়ার ছেলে মো. আবু জাফর ইসলাম জুয়েলের (২৫) সাথে চার বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।
মো. আবু জাফর ইসলাম জুয়েল বর্তমানে শেরপুর কারা পুলিশে কর্মরত আছে।
আমেনার বাবা আয়নাল হক বলেন, অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে পুলিশ সদস্যের নিকট মেয়ে বিয়ে দেই। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় মেয়ে আমানা কে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় জুয়েল। কয়েক ধাপে মেয়ের সুখের জন্য ৭ লক্ষ টাকা তুলেই দেয় জামাইয়ের হাতে। কিন্তু এতেও ক্ষান্ত হয় নি জুয়েল । পরে আরও টাকার জন্য মেয়ে কে প্রায় মারধর করত জুয়েল।
আমেনা আক্তার বলেন, জুয়েলে সাথে ২০১৪ সালের ১৫ই জুন আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। যৌতুকের টাকার জন্য আমাকে মারতে মারতে এক পর্যায় আমাকে বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এর দের বছর পর আমাকে কিছু না জানিয়ে জুয়েল সাভার থানার পলাশবাড়ীর গ্রামের আক্তার হোসেনের কন্য বৃষ্টি আক্তার বিথী (১৩) পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে বিয়ে করে। বিয়ের পরই আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
নির্যাতিত আমেনা আক্তার আরো বলেন, এ বিষয়য়ে স্থানীয় বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদে বিচার চাইলে জুয়েল সেখানে অনুপস্তিত থাকত এবং আমাকে নানা ভাবে হুমকি দিত। পরে নিরুপাই হইয়া বিগত ০১-০৩-১৮ই তারিখে মানিকগঞ্জ বিজ্ঞ জুডিশিয়াল আদালেত মামলা দায়ের করি। মামলা নং সি, আর মামলা নং সাটু/১৮ ও পিটিশন নং সাটু/১৮।
পরে মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে সাটুরিয়া থানায় বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠায়। তদন্তের জন্য দায়িত্ব পান সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্বাস উদ্দিন। কিন্তু মামলার আয়ু মামলার বাদীকে মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করে আমেনা আক্তার।
এই বিষয়ে বরাইদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ বলেন, আমেনা-জুয়েল দম্পতির বিষয়টি সমাধান করার জন্য আমার পরিষদে একাধিকবার চেষ্টা করেও সমাধান করতে পারি নাই।
সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদশক (এসআই) মো. আব্বাস উদ্দিন বলেন, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়য়ার বিষয়টি মিথ্যা। মামলাটির স্বাক্ষীর জবানবন্দির ভিত্তিতে নিয়ম মেনে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
মো. আবু জাফর ইসলাম জুয়েলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করলেও অপর প্রান্ত থেকে ফোন রিসিভ করে নি।
মানিকগঞ্জ২৪/ আ.মা. চৌ/ হা.ফ/ ২০ মে ২০১৮।
আরও পড়ুন: