সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু: মানিগঞ্জের
বাস তখন ছাড়তো ঢাকার গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যাণ্ড থেকে। স্কুল পেরিয়ে
কলেজে যখন ভর্তি হয়েছি তখনও ঢাকাকে ভালভাবে চিনি না। এখন আরও চিনি না। এ
শহর প্রতিমাসে বদলায়। যাক সে কথা।
একদিন ঢাকা যাবার পথে পরিচিত এক
মুরুব্বী হাতে একটা প্যাকেট দিয়ে বললেন,বাবা এই প্যাকেটটা…….. ঠিকানায়
পৌঁছে দিও, ফুলবাইড়ার সাথেই। আমি মনে মনে প্রমাদ গুনলাম,চিনতে পারলে হয়।
উনি আমার কপালের ভাঁজ টের পেয়ে বললেন,চিন্তা কইরো না, এরোপ্লেন বিল্ডিংয়ের ঠিক উল্টা মুখে নীচ তলায়।
পড়লাম আরেক ফাঁপড়ে। এবার এরোপ্লেন বিল্ডিং এর ঠিকানা দেবে কে! আর কিছু বললাম না “আল্লার নামে চলিলাম।”
যথাসময়ে গুলিস্তান নামলাম। তারপর যাকে জিজ্ঞেস করি সেই তোতা পাখির মত
মুখস্ত বলে দেয় বিল্ডিংটা কোথায়। বুঝলাম এতো মহাবিখ্যাত বিল্ডিং। পৌঁছেও
গেলাম চোখ বুঁজে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলবার সময় প্রায় প্রতিবারই
চোখে পরে ছবির এই পেট্রোল পাম্প। যতবার এই এরোপ্লেন মার্কা পাম্পটা দেখি
ততবারই আমার স্মৃতিতে ভেসে উঠে ফুলবাড়িয়া-গুলিস্তান এলাকার সেই বিখ্যাত
“এরোপ্লেন বিল্ডিং” টার ছবি। পাঁচ কিংবা ছয়তলা দালানের চিলেকোঠার ছাদে
কংক্রিটের এরোপ্লেন।
বাসস্ট্যাণ্ড গাবতলী চলে অাসায় বহুবছর যাওয়া
হয়না ওদিকে। কেউ কি জানেন,ষাট কিংবা সত্তর দশকের সেই মহাবিখ্যাত এরোপ্লেন
বিল্ডিংটা এখনও আছে কিনা,নাকি বহুতল ভবনের নীচে চাপা পরেছে তার পরিচয়।
লেখা ও ছবি সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু এর ফেসবুক থেকে নেওয়া।
মানিকগঞ্জ২৪/ ৪ অক্টোবর/ ২০১৭।
তার আরও লেখা পড়তে চাইলে: একজন জসীম মণ্ডল আর হবে না