মানিকগঞ্জে কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ

মানিকগঞ্জ২৪ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মানিকগঞ্জ উপজেলার দিঘী ইউনিয়নে নির্দিষ্ট শ্রমিক নাম থাকলেও কম শ্রমিক দিয়ে নাম সামান্য কাজ করে টাকা উঠিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে।

দিঘী ইউনিয়নের ২ নং ওয়াডের কোটাই-লাউতা, করচাবাধা-ডাউটিয়া ও ৬ নং ওয়ার্ডের পিতলাই-ভাটবাউর সড়কটি পুনঃনির্মানের কর্মসুচিতে ব্যাপক অনিয়ম করছেন  প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে বুধবার গিয়ে দেখা গেছে, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ১ম (পর্যায়) এর আওতায় দিঘী ইউনিয়নের কোটাই সোনা মিয়ার বাড়ি থেকে লাউতা রতনের বাড়ি পর্যন্ত সড়কটি মেরামমত করার জন্য ২৮ জন শ্রমিক থাকার কথা ।  কিন্তু পাওয়া য়ায় ২৩ জন। ৪০ দিন কাজ করার এ কর্মসূচির বরাদ্দকৃত টাকার পরিমান ২ লক্ষ ২৪ হাজার টাকা। কিন্তু স্থানীয়রা বলছেন যে কাজ করছেন তাতে অর্ধেক টাকাও খরচ হবে।

এ কর্মসূচির সভাপতি ও দীঘি ইউনিয়নের ২ নং ইউপি সদস্য  জহিরুল ইসলাম ওহাব জানান, এ কাজে নিযুক্ত শ্রমিকরা চেয়ারম্যান সাহেবের ব্যাক্তিগত কাজ করায় শ্রমিক কম পেয়েছেন।

অপরদিকে একই ইউনিয়নের করচাবাধা শুকুরের বাড়ি হতে ডাউটিয়া সড়কটি মেরামতের কর্মসূচিতে ২৭ জন শ্রমিক থাকার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার ছিল ২৩ জন শ্রমিক। ২ লক্ষ ১৬ হাজার টাকার কাজ থাকলেও কাজ হচ্ছে কোন রকম জোড়া তালি দিয়ে।

এ প্রকল্পের সভাপতি সংরক্ষিত ইউপি সদস্য খন্দকার উম্মে ছালমা বলেন, প্রতিদিনই ২৭ জন শ্রমিক আসেন শুধু  বৃহস্পতিবার ২৩ জন কাজ করছে।
দিঘী ইউনিয়নের পিতলাই বুলুর বাড়ি হতে ভাটবাউর মান্নানের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক নির্মানে ৪০ জন শ্রমিকের মধ্যে পাওয়া গেছে ২৬ জন শ্রমিক । এ প্রকল্পের ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকাই প্রকল্প সভাপতির পকেটে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে কর্মসূচির সভাপতি ও দিঘী ইউপি সদস্য আরিফুর রহমান  মুঠোফোনে জানান, এমন অভিযোগ মিথ্যা । আমি ৪০ জন শ্রমিক দিয়েই কাজ করাচ্ছি।
এ ব্যাপারে দিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মোল্লা জানান, আমি অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্পের কোন শ্রমিক দিয়ে ব্যাক্তিগত কাজ করাইনি। আর যে সব স্থানে কাজের অভিযোগ উঠছে। সে বিষয়ে খোজ নিয়ে ব্যাবস্থা নিব।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া বেগম শিল্পী জানান, যদি কোন কর্মসূচিতে কম শ্রমিক থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাাহী কর্মকর্তা মামুন সরদার জানান, আমি সম্প্রতি এ উপজেলায় যোগদান করেছি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে।

মানিকগঞ্জ২৪/ ২০ জানুয়ারী/ ২০১৮।
আরও পড়ুন:

৪ বছরেও সংস্কার হয়নি ঘিওর- দৌলতপুর- কুস্তাগ্রামের সড়কের

আরো পড়ুুন