ঘিওর-ঠাকুরকান্দি – রসুলপুর সড়কের বেহাল দশা


নাজমুল হোসেন রাজু, ঘিওর: ঘিওরঠাকুরকান্দি
রসুলপুর
সড়কের
বেহাল
দশা
ঘিওরের মাত্র এক কিঃ মিঃ ইটের সড়কটি
মেরামত
না
করার
জন্য
 
দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ১৫ টি গ্রামের মানুষের।
 ঘিওর ইউনিয়নের পোস্তা গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান
হামিদুর রহমান আলাইয়ের বাড়ি থেকে রসুলপুর গ্রামের বাবুর বাড়ির ব্রীজ পর্যন্ত  সড়কটি দীর্ঘদিন খানা খন্দে ভরা থাকলেও কর্তৃপক্ষ
কোন সংস্কার না করায় প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে।

উপজেলার
ঘিওর – ঠাকুরকান্দি সড়কের রসলপুর এলাকার ভাঙ্গা সড়ক
দিয়ে প্রায় ১৪১৫ টি গ্রামের মানুষের চলাচল করে। ৫ টি স্কুলকলেজ, মাদ্রাসার হাজার হাজার
ছাত্র ছাত্রীরা চলাচল করে। তাছাড়া কৃষি পণ্য বিভিন্ন হাট বাজারে নিতে গেলেও কৃষকদের
বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। 
চলতি
বন্যাসহ
কয়েক
বছরের
বন্যায়
রাস্তাটি
ক্ষতবিক্ষত হয়ে একেবারেই চলার অনুপযোগী হয়ে পড়া এই সড়ক দিয়ে কোন অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেয়ার ক্ষেত্রে আরও বিপাকে পড়তে
হয় স্থানীয়দের। এ সড়কের অন্তত ১০-১৫ টি স্থানে বড় বড় গর্ত সৃস্টি হয়েছে।

এই
সড়কে চলচালকারী
 
সি.এন.জি চালক রাজ্জাক জানালেন,দীর্ঘ দিন ধরে  এক কিলোমিটার সড়কটি এমন ভাবে খানা খন্দ
সৃস্টি হয়েছে, যানবাহন নিয়ে প্রায় দু্‌র্ঘটনার শ্বিকা হচ্ছে। এর আগে নিজোরা চাঁদা তুলে

রাস্তা
মেরামত
করতে হয়েছে। 

ঘিওর
গার্লস স্কুলের ৯ম শ্রেণী ছাত্রী রুপা
জানান, প্রতিদিন খুব কষ্ট করে আমরা পায়ে  হেঁটে স্কুলে যেতে হচ্ছে। সিএনজিতে
উঠলে রাস্তা খারাপ থাকার কারনে ভারা বেশী নেয়। ভাড়া বেশী দিয়ে সিএনজিতে উঠলেও আমাদের
অতিরিক্ত সময় লাগে সড়কটি খারাপ থাকায়।
রসুলপুর
গ্রামের
মুস্তাক
বলেন রাস্তাটির
দীর্ঘ
দিন
ধরে
চলাচলের
অনউপযোগী থাকলেও প্রশাসন কোন সংস্কার কাজ করছেন না।


সড়ক দিয়ে
ঘিওর
সদর
উপজেলার
ঠাকুরকান্দি,
রসুলপুর
গ্রামের
মানুষ

দৌলতপুর
উপজেলার
খলসী,
চর
খলসী,
রাহাতহাটি,
জামিরকান্দা,
ভররা,
বনগ্রাম,
নবগ্রাম,
বিনোদপুর,
কুমুরিয়া,
বর্দমকান্দি,নেকিরকান্দিসহ
প্রায়
১৫
টি
গ্রামের
মানুষের
চলাচলের
একমাত্র
সড়ক। 

  বিষয়ে ঘিওর সদরের ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, যথাযথ চেষ্টা গ্রহণ করছি, খুব দ্রুত রাস্তা মেরামত করার জন্য আমি
আগামী সমন্নয় সভায় উপজেলা প্রশাসন কে জানাব।
মানিকগঞ্জ২৪/
হা.ফ/ ১৯ সেপ্টেম্বর/ ২০১৭।
আরো পড়ুুন