বর্ষাতেও ইছামতিতে প্রাণ নেই

মোবাইলে ধারন করা ভিডিও থেকে ছবি করা

সাইফুদ্দিন আহম্মেদ
নান্নু: ১৩ সেপ্টেম্বর: কষ্ট
আর বেদনার ছবি।
ছবিটি একটি নদীর,বিখ্যাত ইছামতি নদীর। হরিরামপুরের মানিকনগর,নতুন বাজার অংশে নদীর বুক জুড়ে কচুরীপানা জমেছে।

  নদীর এপার ওপারের মানুষেরা নৌকা,ব্রিজ ছাড়াই অবলীলায় কচুরীপানার উপর দিয়ে চলাচল করছে। ভিডিওটির ধারাবর্ণনায় বিস্ময় আছে, আছে উচ্ছ্বাস,আনন্দের ছোঁয়া। অথচ এই দৃশ্য একটি
নদীর মরণযন্ত্রনার। ভরা বর্ষার কালেও একটি নদী যখন কচুরী পানায় রুদ্ধ হয়,স্থবির হয়ে
পরে তখন বুঝে নিতে হয় নদীর
অন্তিম যাত্রা সমাগত
 

যমুনার শাখা নদী ইছামতি মানিকগঞ্জের দৌলতপুর,ঘিওর,শিবালয় হরিরামপুর উপজেলা
হয়ে ঢাকার নবাবগঞ্জ, দোহারকে ছুঁয়ে হয়ে ধলেশ্বরী নদীর তীরবর্তী সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগরসৈয়দপুর ইউনিয়নের ফুলহার দিয়ে মুন্সীগঞ্জে চলে গেছে।

ধারণা করা হয়ে থাকে ইতিহাস বিখ্যাত ঈছা খানের নামেই নদীর নামকরণ
করা হয়েছে।

নদী যতটা না খরস্রোতা ছিল
তার চেয়ে বেশী ছিল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ইছামতির দীর্ঘ পথযাত্রার দুপাশে ছিল নিবির গ্রাম,কৃষি আর কৃষকের অফুরন্ত
প্রাণপ্রবাহ।

এই নদীর সবই প্রায় হারিয়ে গেছে, আছে শুধু কঙ্কালসার দেহ। কেবল বর্ষাতেই যাকে নদী বলে চেনা যায়। সেই বর্ষাতেও ইছামতিতে প্রাণ নেই, নিদারুন স্থবিরতা।

ছবি ও লেখা সাংবাদিক
সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।

মানিকগঞ্জ২৪/ ১৩
সেপ্টেম্বর ২০১৮।

আরও পড়ুন:

বাবা নেই,বাবার হারকিউলিসটাও নেই

আরো পড়ুুন