এমন সাংবাদিকতা ভাল লাগেনি

সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু: ধর্ষক যুবদল নেতার পুরুষাঙ্গ কেটে দিয়েছে অতিষ্ঠ এক নারী। সংবাদমাধ্যমে এই
খবর কমবেশী সবাই পড়েছি,জেনেছি। গুরুত্বপূর্ণ খবর,এমন খবর,টকশোর আলোচনায়
বেশী বেশী আনা জরুরী এতে কোন সন্দেহই নেই।
তাই বলে সেই নারীর মুখ থেকেই খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করে লিঙ্গকর্তনের সবিস্তার নিখুঁত বর্ণনা দর্শক,শ্রোতাদের শুনাতে হবে কেন ?

টিভি,পত্রিকার নিউজ কি তাহলে মানুষ বিশ্বাস করে না !

ভাবুন একবার ,বার বার ধর্ষণের শিকার একজন নারীর পক্ষে লিংঙ্গকর্তণের বর্ণনা সরাসরি টেলিফোনে দেয়া কতখানি বিব্রতকর।

অথচ একটি ঝলমলে,মুখর টিভির সঞ্চালিকা টকশোতে টেলিফোনে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করে করে সে কাজটিই করিয়ে নিলেন!

বিষয়টি রুচিকর সাংবাদিকতা বলে মনে হয়নি,ভাল লাগেনি আমার। আলোচনার জন্য
এক্ষেত্রে সঞ্চালিকার যুবদল নেতার লিংগ কর্তনের সংবাদটির বিবরণ দেয়াই
যথেষ্ট ছিল। টেলিফোনে তার মুখ থেকে শোনানোর কোন প্রয়োজনই ছিল না।

বলে রাখা ভাল টিভিটি বলছিল নারীটির নাম পরিচয় গোপন রেখে তার সাথে কথা বলা
হবে,নারীটি যখন বলছিলেন তখন তার নাম,পরিচয় বলা হয়নি,কিন্তু পুলিশ
কর্মকর্তার ইন্টারভিউর সময় পুলিশ কর্মকর্তার মুখ থেকে নারীটির নাম ঠিকই
শ্রোতারা শুনতে পেয়েছেন।

সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।

মানিকগঞ্জ২৪/ ১৮ সেপ্টেম্বর/ ২০১৭।

আরো পড়ুুন