আবুলের ভাল পার্টির খারাপ কাম

২০১৭ সনের ২০ ডিসেম্বর বিশিষ্ট
অর্থনীতিবিদ . আবুল বারকাত
মন্তব্য করেছিলেন, “ঠিকমতো হিসাব করলে দেশের অর্ধেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যাবে  হয়ে
যাবে নয়, হয়ে গেছে এই কথাটি তার
মনে মনে ছিল হয়তো।

কারণ সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, .আবুল বারকাত
জনতা ব্যংকের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে নিয়মের বাইরে এক গ্রাহককেই
হাজার ৫০৪ কোটি টাকার ঋণ দেয়া হয়েছে।
নিয়মনীতি না মেনে এভাবে
ঋণ দেয়ায় বিপদে পড়েছে ব্যাংকটি।
 

মোহাম্মদ ইউনুস (বাদল) এর মালিকানাধীন এননটেক্স
গ্রূপ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এই বিশাল ঋণ
সংগ্রহে সক্ষম হয়েছিলেন। এখন গ্রাহক ঋণ পরিশোধ করছেনা।
 

তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের সুপারিশ এবং রাজনৈতিক চাপে এই ঋণ দেয়া
হয়েছে বলে জানিয়েছে পত্রিকাগুলি। সে সময় ব্যাংকের
পর্ষদ সদস্য ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক নাগিবুল ইসলাম ওরফে দীপু, টাঙ্গাইলের কালিহাতী আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী যুবলীগ নেতা আবু নাসের প্রমুখ।

 (প্রথম
আলো) জনতা ব্যাংকের মোট মূলধন হাজার ৯৭৯
কোটি টাকা। মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত
ঋণ দেয়ার সুযোগ আছে। অর্থাৎ এক গ্রাহক ৭৫০
কোটি টাকার বেশি ঋণ পেতে পারে
না। অথচ আবুল বারকাতের সময় এক গ্রাহককেই দেয়া
হয়েছে মোট মূলধনের প্রায় দ্বিগুণ। তার আমলেই জনতা ব্যাংকটি মূলতঃ দেউলিয়া হয়েছিল, প্রকারান্তরে তিনি তার ডিসেম্বরের বক্তব্যে তা মনের অজান্তে
প্রকাশ করে ফেলেছেন।

বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল বলেন, আবুল বারকাত ওই ঋণগ্রহীতার বিষয়ে
স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন, — পার্টি ভালো।

বোঝা গেল, নামে আবুল থাকলেও কার্য্যক্রমে আবুল হওয়াটা জাতির জন্য বিপদজনক।

লেখা আরিফুর রহমান
এর
ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
মানিকগঞ্জ২৪/হা./ ফেব্রুয়ারী/ ২০১৮।
আরও পড়ুন:

মা বেড়াতে গেছেন একা একা।

আরো পড়ুুন