মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি ৩ আগষ্ট:
ঈদের আনন্দ নেই মানিকগঞ্জের আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে। প্রাতিষ্ঠানিক আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও মহাসড়কের ঢালে ও উচু স্থানে শত শত বন্যা কবলিত পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। এসব পরিবারে ভাল রান্নাও হয় নি অনেক পরিবারে। বন্যার পানি থেকে নিজেকে বাচানোর জন্য আশ্রয় নিয়েছেন যে যেভাবে পারেন।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৪৮টি প্রাতিষ্ঠানিক আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৮৪৭ টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন। সরকারী হিসেবের বাইরেও বন্যার কারনে আত্বীয় স্বজন ও উচু স্থান এবং অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার পরিবার।
জেলার শিবালয় উপজেলার শিবালয় ইউনিয়নের দক্ষিণ কাষাদাহ গ্রামের বাসিন্দা ইয়ার আলী (৬০) তিনি তার পরিবাবর নিয়ে ঢাকা আরিচা মহাসড়েকের ঐ গ্রামের অংশে পলিথিন টানিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি বলেন, কিসের ঈদ , কিসের খাওয়া পড়া। বন্যার পানি আমার ঘর ডুইবা গেছে। পর এখানে খুপরি টানিয়ে আছি ১৫-১৬ দিন ধরে। তিনি তার স্ত্রী নিয়ে কয়েকটি ছাগল ছানা কে খাওয়ানোর কাজে ব্যাস্ত।
ইয়ার আলী বলেন, বন্যা ১ মাস পার হতে চললেও আমরা কোন সরকারী কোন সহযোগীতা পাই নি। ঈদের দিন কোন রকম ডাল ভাত পুলাপানের মুখে দিতে কষ্ট হয়ছে। হাতে টাকা নাই পয়সা কিছু নাই। কেউ ধার দিতেও চায় না। থাকার মধ্যে ৪-৫টি ছাগল আছে। তাই ওদের নিয়াই ব্যাস্ত থাকি।
একই গ্রামের মোস্তফা বলেন, আমাদের গ্রামের ৩০ -৩৫ টি বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছি। ঈদের এক টুকরা মাংসও রান্না হয় নি আমাদের পাড়ায়।
সাটুরিয়া উপজেলার মালশি গ্রামের রবিউল বলেন, আমাদের গ্রামসহ, কৈজুরি, কলাশুর প্রতিটি বাড়ির মানুষই পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। কোন উচু স্থান না থাকায় এবার আমাদের গ্রামের অনেক বৃত্তশালীরাও কুরবানি দিতে পারেন নাই। এতে অনেক দুস্থ্য পরিবার মাঝে ঈদের কোন আনন্দ নেই।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ফটো বলেন, আমরা উপজেলা পরিষদের পক্ষে থেকে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছি। আমি কুরবানি মাংস সাধ্য মত আমার ইউনিয়নের দুস্থ্য বন্যার্তদের মাঝে কিছু দেবার চেষ্টা করেছি।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, আমার সাটুরিয়া উপজেলার প্রাতিষ্ঠানিক আশ্রয় কেন্দ্রগুলিতে ১ শত পরিবারের মাঝে ইসলামিক রিলিফের মাধ্যমে ২ কেজি করে কুরবানির মাংস বিতরণ করেছি।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ৩ আগষ্ট ২০২০।