ফয়জী
॥ সাটুরিয়ার
সেই দেড় টনের ওজনের ষাঁড় গরুর উপযোক্ত দাম না পাওয়ায় শুক্রবারও বিক্রি করে নি ।
স্কুল ছাত্রী ইতি আক্তার ও তার মা পরিস্কার বিবির আলোচিত রাজা বাবু বিক্রি না
হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন পরিবার টি। দেড় টনের ওজনের এ ষাঁড়টির মালিক খান্নু মিয়া জানান
১৫-১৬ লক্ষ টাকা না পেলে এ বছরও বিক্রি করবেন না।
টন
ওজনের
ষাঁড়
গরু
লালন
করে
তাক
লাগিয়েছেন জেলার
সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া
গ্রামের পরিষ্কার বিবি
ও
তার
স্কুল
পড়ুয়া
কন্যা
ইতি
আক্তার।
এ শিরুনামে প্রথম মানিকগঞ্জ২৪
পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ নিউজটি প্রকাশিত হওয়ার পরই সারা দেশেই এ
সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায়। ১৪ আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশের জনপ্রিয় টিভি, প্রিন্ট
পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়।
ফেসবুক্ এবং ইউটিউব ব্যাপক প্রচারের পর সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্জল থেকে স্কুল পড়ুয়া
ইতি আক্তারের ৩৯ মুন ওজনের ষাঁড়টি দেখার জন্য ভিড় করে।
গ্রামের পরিষ্কার বিবি
ও
তার
স্কুল
পড়ুয়া
কন্যা
ইতি
আক্তার। গরু
লালন
পালন
করেই
তাদের
সংসার
চলে।
গেল
বছর
কোরবানী ঈদে ২৭
মন
ওজনের
একটি
ষাঁড়
১০
লক্ষ
টাকা
বিক্রি
করে
তাক
লাগিয়ে
দিয়েছিলেন। অবশ্য
১০–১২ বছর আগে
থেকেই
পরিষ্কার বিবি
ও
তার
স্বামী
খান্নু
মিয়া
গরু
লালন–
পালন
করতেন।
কিন্তু
তার
কন্যা
ইতি
আক্তার
দেশীয়
পদ্ধতিতে গরু
মোটাতাজাকরণ করা
শুরু
করেন।
আর
১ম
বছরেই
লাভবান
হওয়ায়
এ
বছর
তিনি
আরও
বড়
আকৃতির
গরু
কিনে
মোটাতাজকরন শুরু
করেন।
এ
ব্যাপারে ইতি
আক্তার
জানান,
কোরবানীর ঈদ
কে
সামনে
রেখে
রাজা
বাবু
কে
লালন
করেছি।
রাজা বাবু লম্বায় ৭
ফুট
৩
ও
৯ফুট
১
ইঞ্চি
বেড়ের
এ
ষাঁড়টির দাঁত
আছে
৪
টি।
বর্তমান ওজন ১৫৬৬
কেজি
(৩৯
মন)। প্রানী সম্পদ অফিসের ডাক্তার এসে তারা
ওজন করে।
ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউবে সার্চ দিলেই শত শত লিংক চলে আসে। ১৫/১৬ দিন ধরে সারা দেশি
বিদেশ থেকে অসংখ্য ফোন আসে। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে যানবাহন ভাড়া করে একবার
দেখতে আসছে রাজা বাবু কে দেখার জন্য।
রাজা বাবু কে দেখে দাম বলে গেছে এবং মোবাইল নাম্বার নিয়ে যায়। কিন্তু ভাল দাম
পাচ্ছি না বলে বাবা রাগ করে ষাঁড়টি কে বিক্রি করবেন না।
মিয়া জানান, গাজীপুর থেকে একটি কম্পানি ১৩ লক্ষ টাকা দাম বলে গেছে। সে এখনও নিতে
চাচ্ছে কিন্তু ১৫ লক্ষ টাকা না হলে সে বিক্রি করবেন না।
পরিবারের ৪ জন সদস্য ৩ বছর বয়সী ফিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি এক বছর ধরে অনেক কষ্ট করে
লালন পালন করেছি। গ্রাম থেকে চড়া সুদে টাকা এনে রাজা বাবু কে লালন পালন করেছি। তাই
কম দামে কেমনে দেই।
এ
ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা
প্রাণী
সম্পদ
কর্মকর্তা মোঃ
খুরশেদ
আলম
বলেন,
ঈদ
কে
সামনে
রেখে
সাটুরিয়া ইতি ও
পরিষ্কার বিবির
লালিত
এ
ষাঁড়টির ওজন
আমি
নিজে
মেপেছি। ১৩ আগস্ট পযন্ত ষাঁড়টি ওজন
১৫৬৬
কেজি,
যা
৩৯
মন
ও
দেড়
টনেরও
বেশী ছিল। আমরা নিয়মিত এ
গরুটির
দেখভাল
করেছি।
কিন্তু এ আলোচীত ষাঁড়টি বিক্রি না
করতে পারলে তাদের অনেক বড় লোকসান হয়ে যাবে বলে মনে কেরছেন এ প্রানী সম্পদের
কর্মকর্তা।
ও পরিষ্কার বিবি
তার শখের ফিজিয়ান
জাতের ষাঁড় “রাজা বাবু“-র শুক্রবারও বিক্রি করতে পারবেন বলে
আশা করছেন। তবে উপযোক্ত দাম না পেলে আরও একটি বছর রাজা বাবু কে লালন পালন করবেন।
কিনতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন খান্নু মিয়ার মোবাইলে: ০১৭০১৭৭০০০৫।