একজন কলেজ শিক্ষক বাড়ি ভাড়া পান ১ হাজার টাকা

সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু: যারা
না জেনে বলেন,লিখেন
তাদের জন্য: স্কুলের কথা
বাদই দিলাম,একজন বেসরকারি
কলেজ শিক্ষক বেতনের সাথে
বাড়ি ভাড়া বাবদ পান
হাজার টাকা

হাজার টাকায় কোথায়
বাড়ি ভাড়া মেলে আমার
জানা নাই।
জানেন
কেউ

সরকারি অফিসের একজন পিওন
তার বেতনের সাথে যে
বাড়ি ভাড়া পান তা
শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার কমপক্ষে
তিনগুন। কেন?

তারপরও এই জাতি শিক্ষকতা
পেশায় কেবল মেধাবীদের চান,শিক্ষকতায় কমিটমেন্ট প্রত্যাশা করে।

মেধা আর কমিটমেন্ট হাওয়া
থেকে আসে না

ভুলে না যাই যেন,দেশের ৮৫ভাগ ছেলেমেয়ে
কিন্তু বেসরকারি শিক্ষকরাই পড়ান

এমন অসংখ্য অসম্মান আর
বঞ্চনার কথাগুলো শিক্ষকদেরই চিৎকার করে বলা
উচিত,তা তারা বলেন
না,লজ্জা পান।
আরে ভাই লজ্জাতো তাদের
পাওয়া উচিত যারা জানেন
না, না জেনে যারা টিভি
টকশোতে বলেন,পত্রিকায় কলাম
লিখেন। লজ্জা পাওয়া উচিত
আমাদের রাজনীতিক আর আমলাদের, যারা
এমন বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ
করেছেন।

জানেন, এই শিক্ষকেরা সমগ্র
চাকরি জীবনে কয়টা ইনক্রিমেন্ট
পান?

তাদের পেনশন কত,কয়
বছর পরে তা জোটে? আগে জানুন,পরে বলুন।
ওহহো! সরকারি অফিসের সুইপারও
কিন্তু বছর বছর ইনক্রিমেন্ট
পান সেটা জানেন তো? আরও অনেক কিছুই আপনারা
জানেন না,না জেনেই
মেধাবী শিক্ষক চান,শিক্ষকদের
কমিটমেন্ট চান

জানেন নাকি, একজন প্রভাষকের
সারাজীবনে প্রমোশন মাত্র ১টি,সহকারি
অধ্যাপক। আর না,তাও
সবার না,এখানেও অনুপাত
প্রথা আছে। একটি কলেজে
প্রতি ৭জন প্রভাষকে মাত্র
জন ৮বছর পর
সহকারী অধ্যাপক পদ পাবেন। বাকিরা
প্রভাষক হিসেবেই অবসরে যাবেন। কেন?
অপরাধ কি?

অবাক হচ্ছেন! কত কিছু না
জেনেই বলে চলেছেন বছরের
পর বছর তাই না!

সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু এর
ফেসবুক থেকে নেওয়া।

মানিকগঞ্জ২৪/ ২৩ জানুয়ারী/
২০১৮।

আরও পড়ুন:

এমন সাংবাদিকতা ভাল লাগেনি

আরো পড়ুুন