শিক্ষামন্ত্রী সহনীয় মাত্রায় ঘুষ খাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “নানা জায়গায় এ রকম হইছে,সব জায়গাতেই এ
রকম হইছে। খালি যে অফিসার চোর
তা না, মন্ত্রীরাও চোর, আমিও চোর। সবাইকে আমাদের পরিবর্তন করতে হবে।” (বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৩ জানুয়ারি)
বাংলা ট্রিবিউনের রিপোর্ট, “ডিবির যুগ্ম কমিশনার আবদুল বাতেন বলেছেন, ‘লেকহেড স্কুল খুলে দিতে পরিচালক খালিদ হাসান মতিনের সঙ্গে সাড়ে ৪ লাখ টাকার
চুক্তি হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা
(পিও)
মো.
মোতালেব
হোসেন
ও
শিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের
(প্রেষণে)
উচ্চমান
সহকারী
নাসির
উদ্দিনের।
এর
মধ্যে
১
লাখ
৩০
হাজার
টাকা
পরিশোধের
সময়
তাদেরকে
হাতেনাতে
গ্রেফতার
করা
হয়।”
আবদুল
বাতেন
আরও
বলেন,
‘প্রাথমিক
জিজ্ঞাসাবাদে
গ্রেফতার
হওয়া
তিন
জনই
ঘুষ
লেনদেনের
কথা
স্বীকার
করেছেন।”
এখন প্রশ্ন হলো, শিক্ষামন্ত্রণালয়ে এই ধরণের ঘুষ
লেনদেন আগে কতবার হয়েছে ? প্রশ্নপত্র ফাঁসে মন্ত্রণালয়ে কারা টাকা খেত ? পাঠ্যবই ছাপানো, বই ডিস্ট্রিবিউশনের দুর্নীতির খতিয়ান
কি ?
মন্ত্রীর নিজের স্বীকোরোক্তি “আমিও চোর” বলার পেছনে এইসব ঘুষ লেনদেনের অংশীদারত্ব নেয়ার কারণে এই কথাটি তার
অবচেতন মনের অনিচ্ছাকৃত বহিঃপ্রকাশ নয়তো ?
আর যদি মন্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ কর্মচারীদের ঘুষের ভাগিদারীত্ব নাও নিয়ে থাকেন, তার ব্যক্তিগত সহকারীর ঘুষ নেয়ার অপরাধ কি তার ওপর
বর্তায় না ?
বিদেশ হলে বর্তাত। এই ধরণের ঘটনায়
এই মুহূর্তে বিদেশের যে কোন মন্ত্রী
পদত্যাগ করতেন, ভারত, শ্রীলংকা এমনকি নেপালেও।
বাংলাদেশে নৈবচঃ নৈবচঃ।
পরলোকগত শ্রী সুরঞ্জিত সেন তার সহকারীর ঘুষের টাকার কারণে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে যা খুইয়েছিলেন তার
চেয়ে বেশি লস হয়েছিল,– পাবলিক
তাকে সামাজিক মাধ্যমে ‘কালো বিড়াল‘ আখ্যা দিয়েছিলো। তিনি সরাসরি অসৎ প্রমাণিত না হয়েও প্রমান
করেছিলেন তিনি অসৎ, সাধারণ মানুষের ধারণা তাই ছিল।
অনেক প্রশ্ন পাবলিকের মনে মনে। ঘুষকে স্পিডমানি আখ্যা দিয়ে এটিকে ন্যায্য পাওনার লেভেলে নিয়ে আসার বক্তব্যের কারণে বর্ষীয়ান অর্থমন্ত্রী কঠিন ভাবে সমালোচিত হয়েছেন।
আশা করি শিক্ষামন্ত্রী একজন আদর্শ বাম রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসাবে এই সব অনভিপ্রেত
ঘটনাবলির সমাধান কল্পে তার পদ থেকে রিজাইন
করে বাম রাজনীতির ইতিহাসে একটি আদর্শ স্থাপন করবেন।
ছবি বাংলা ট্রিবিউন
থেকে নেওয়া এবং লেখা আরিফু ররহমান এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
হা.ফ/ ২৪
জানুয়ারী/
২০১৮।