মানিকগঞ্জে যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার
পানি কমলেও ঐ পয়েন্টে রবিবার সকালে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর পানি কমতে শুরু করলেও শনিবার সন্ধার দিকে ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের পল্লিবিদ্যুৎ নামক
স্থানে তিব্র স্রোতে মহাসড়কে পানি উঠার আশংকায় রাত ভর বালুর বস্তা ফেলানো হয়েছে। অপরদিকে
জেলার বন্যায় দুর্গত মানুষদের দুর্ভোগ কমেনি।
প্রশাসনের বন্যা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ রবিবার জানিয়েছেন, যমুনার পানি কমলেও কালিগংঙ্গা নদীর
পানি রবিাবরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
৭টি উপজেলার শাখা প্রশাখার নদীর পানি রবিবার পানি বাড়েনি। জেলার হরিরামুর উপজেলার সদরের
সাথে রবিবারও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঘিওরের ৫টি স্থানে বন্যার পানি উঠেছিল তা এখনও
নামেনি।
পানি কমলেও জেলার ঘিওর, সাটুরিয়া, শিবালয়, হরিরামপুর উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্ধি
রয়েছে। শনিবারের যে সব স্থানে পান্ উঠেছিল তা রবিারের পানি না বাড়লেও তা কমেনি।
হরগজ, তিল্লি, বরাইদ ও বালিয়াটী ইউনিয়নের অনেক স্থানে শনিবার বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়।
এ ইউনিয়নের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ফষলি জমি, রাস্তা- ঘাট ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
হয়েছে।
চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন জ্যোতি জানান, আমার অন্তত ৬-৮ টি গ্রাম পানি প্লাবিত হয়েছে।
রবিবার নদীর পানি কমলেও এসব এলাকায় পানি কমেনি।
উন্নয়ন বোর্ডের শিবালয় উপজেলার আরিচা গেজ
রিডার (জিআর) মো. ফারুক
হোসেন জানান, রবিবার সকাল পর্যন্ত যমুনা নদীর আরিচা পয়েন্টে বিপদসীমার ৬০ সেন্টিমিটার
উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। তবে শুক্রবার রাতে ৭৬ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছিল। শুক্রবার
থেকে রবিবার পর্যন্ত ১৬ সেন্টিমিটার পানি কমলেও শাখা নদীদে পানি কমা শুরু করে নি তা অপরিবর্তিত
রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. নাজমুছ সাদাত
সেলিম জানান, যমুনায় বন্যা পানি
কমতে শুরু করেছে। শনিবার রাতে ঢাকা- আরিচা মহাসড়কের পল্লিবিদ্যুৎ নামক স্থানে
তিব্র স্রোতে মহাসড়কে পানি উঠার আশংকা দেখা দেয়। এমন খবর শুনে আমি নিজে ঘটনা স্থল
পরিদর্শন করে বালু ও বাঁশ দিয়ে তা প্রতিরোধ করার ব্যাবস্থা করি। বন্যা কবলিত
মানুষদের জন্য আমাদের টিম সার্বক্ষনিক কাজ করছে।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২০ আগস্ট/
২০১৭।