মোহাম্মদ হাসান
ফয়জী : নৌকায় দিনে ঘুমাই, যা পাই খাই, আর রাত জেগে বাড়ি পাহারা দেই। বাড়িতে বানের পানি
উডছে ১৫ দিন অইল হগলরে মেয়ের বাড়িতে দিছি। হাস মুরগি ছাগল ও গরু বাছুর ল্ইয়া আমি বাড়িত
থাহি। এভাবেই কথা গুলি বলছিলেন ঘিওর উপজেলার নালি ইউনিয়নের মাসাইল গ্রামের বানে পানিবন্ধি
কাদের মোল্লা।
ফয়জী : নৌকায় দিনে ঘুমাই, যা পাই খাই, আর রাত জেগে বাড়ি পাহারা দেই। বাড়িতে বানের পানি
উডছে ১৫ দিন অইল হগলরে মেয়ের বাড়িতে দিছি। হাস মুরগি ছাগল ও গরু বাছুর ল্ইয়া আমি বাড়িত
থাহি। এভাবেই কথা গুলি বলছিলেন ঘিওর উপজেলার নালি ইউনিয়নের মাসাইল গ্রামের বানে পানিবন্ধি
কাদের মোল্লা।
বাড়ি থেকে যতদুর
চোখ যায়, পানি পানি আর পানি।শনিবার বিকালে কলতা বাজার থেকে নৌকা যোগে যাওয়া হয় মাসাইল
গ্রামে। পানিবন্ধি একটি বাড়িতে গেলে এক লোক দেখা যায় তার উঠাতে ডিংগি নৌকা বেধে তার
উপর গোমাচ্ছেন। ছবি তোলতে গিয়ে তিনি গুম থেকে উঠে যান।
চোখ যায়, পানি পানি আর পানি।শনিবার বিকালে কলতা বাজার থেকে নৌকা যোগে যাওয়া হয় মাসাইল
গ্রামে। পানিবন্ধি একটি বাড়িতে গেলে এক লোক দেখা যায় তার উঠাতে ডিংগি নৌকা বেধে তার
উপর গোমাচ্ছেন। ছবি তোলতে গিয়ে তিনি গুম থেকে উঠে যান।
পরে কাদের মোল্লা
জানান, ১০ বছর হয় এখানে নতুন বাড়ি করছেন। তার সংসারের বাকী সদস্যদের মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছেন।
বাড়ীতে তার কোমর পানি। গোয়ালে তার ২ টি ষাঁড় বাছুর আছে। ৩ টি ছাগল ও হাস মুরগি ও নিয়ে
মেয়ের বাড়িতে যাবার কোন সুযোগ না থাকায় বাড়ীতে থাকছেন তিনি।
জানান, ১০ বছর হয় এখানে নতুন বাড়ি করছেন। তার সংসারের বাকী সদস্যদের মেয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছেন।
বাড়ীতে তার কোমর পানি। গোয়ালে তার ২ টি ষাঁড় বাছুর আছে। ৩ টি ছাগল ও হাস মুরগি ও নিয়ে
মেয়ের বাড়িতে যাবার কোন সুযোগ না থাকায় বাড়ীতে থাকছেন তিনি।
হাস মুরগি খোয়ারেই
বন্ধি করেরেখেছেন। আর উঠানে কোমর পানি থাকলেও গোয়ালে পানি এখনও উঠেনি। গোয়লে ২ টি গরু
ও ৩ ছাগল বেধে রেখেছেন, ওদের কুড়া ও ভূষি খাওয়ান।
বন্ধি করেরেখেছেন। আর উঠানে কোমর পানি থাকলেও গোয়ালে পানি এখনও উঠেনি। গোয়লে ২ টি গরু
ও ৩ ছাগল বেধে রেখেছেন, ওদের কুড়া ও ভূষি খাওয়ান।
পানিবন্দি কাদের
মোল্লা আরো জানান, চোর ডাকাতের ভয়ে রাত জেগে নৌকায় পাহারা দেই। আর দিনে এ নৌকায় গুমাই।
আর কিছু পেলে খাই না হলে।
মোল্লা আরো জানান, চোর ডাকাতের ভয়ে রাত জেগে নৌকায় পাহারা দেই। আর দিনে এ নৌকায় গুমাই।
আর কিছু পেলে খাই না হলে।
আরেকটু এগিয়ে
গেলে দেখা যায়, নৌকায় বসে মুছলেম এক পানিবন্ধি নৌকায় বসে খাবার দাবার খাচ্ছেন।
গেলে দেখা যায়, নৌকায় বসে মুছলেম এক পানিবন্ধি নৌকায় বসে খাবার দাবার খাচ্ছেন।
এ চিত্র শুধু
কাদের মোল্লার একার নয় এমন অবস্থা তার একার না সারা ঘিওরের বন্যা কবলিত মানুষদের একাই
অবস্থা।
কাদের মোল্লার একার নয় এমন অবস্থা তার একার না সারা ঘিওরের বন্যা কবলিত মানুষদের একাই
অবস্থা।
এ ব্যাপারে ঘিওর
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা খন্দকার জানান, তার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে সবগুলিই প্লাবিত
হয়েছে। বিশেষ করে নালি ইউনিয়নের একাধিক পাকা সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা ইতিমধ্যে
২১ টন চাউল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা বিতরণ করেছি। আমরা আরও নতুন বরাদ্ধ পাব বলে স্থানীয় সাংসদ
জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামিমা খন্দকার জানান, তার ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে সবগুলিই প্লাবিত
হয়েছে। বিশেষ করে নালি ইউনিয়নের একাধিক পাকা সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। আমরা ইতিমধ্যে
২১ টন চাউল ও নগদ ১ লক্ষ টাকা বিতরণ করেছি। আমরা আরও নতুন বরাদ্ধ পাব বলে স্থানীয় সাংসদ
জানিয়েছেন।
মানিকগঞ্জ২৪/
হা.ফ/ ২০ আগস্ট/ ২০১৭।
হা.ফ/ ২০ আগস্ট/ ২০১৭।