আমার বাবার একটা শক্তপোক্ত সাইকেল ছিল,হারকিউলিস সাইকেল। ছোট বেলায়
অসংখ্যবার সেই সাইকেলের রডে বসে এই পথ দিয়ে গ্রামের বাড়ি গেছি। বাবা
চালক,আমি যাত্রী।
আমাদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ শহর থেকে ৫মাইল দূরে।
শনিবার বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় বাবাকে সাইকেলের চেইন,চাক্কায় তেল-মবিল
লাগাতে দেখলেই বুঝে যেতাম বাবা কাল বাড়ি যাবে। আমিও সাতসকালে নাছোরবান্দা
হয়ে লেগে থাকতাম বাবার সাথে।
এমনিতেই রডে বসে থাকা কষ্টের, তার উপর সে সময়ে আমার গায়েগতরে মাংস ছিল না।
তাই কষ্ট লাঘবের জন্য রডে লুঙ্গি পেঁচিয়ে গদির মত করে দিতেন।
সকালে যেতাম ফিরে আসতাম সন্ধ্যার আগে।
সে সময় এ রাস্তা পিচঢালা ছিলনা। ইটে ছাওয়া ছিল। আঁকাবাঁকা পথ,ডজন খানেক
ব্রিজ পেরিয়ে বাবার সাইকেলে খুব ভাব মেরে বাড়ি যাওয়া। খুব ইজ্জত ছিল
সেসময়ের সাইকেলের।
সেই রাস্তাটা আছে, বাবা নেই,বাবার হারকিউলিসটাও নেই। স্মৃতি আছে, বাবার স্মৃতি।
লেখা ও ছবি সাংবাদিক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু এর ফেসবুক থেকে নেওয়া।
মানিকগঞ্জ২৪/ ১৮ আগষ্ট ২০১৮।
আরও পড়ুন: