তানভীর ভাইয়ের ১০ টাকার তেহারী

একজনের পোস্ট দেখলাম ১০টাকার তেহারী নিয়া,ভাবলাম ফাজলামু করছে,দুর্ভাগ্যবশত আমার মেসের খালা অসুস্থ থাকায় টিউশন শেষে হেটে আসছিলাম বনগ্রামের ভেতর দিয়ে,হটাৎ পোস্টের কথা মনে হলো এবং দোকান খোঁজা শুরু করলাম,বেশিক্ষণ লাগেনাই দোকান খোঁজে পেতে।



তারপর কথোপকথন এমন
আমি:আপনি কি তানভীর ভাই?
তিনি:হুম
কেন?
আমি:কি
বিক্রি
করেন?
তিনি:মুরগীর
তেহারী,খাইবেন??
আমি:কত
দাম?
তিনি:১০/২০/৩০/৪০/৫০যে
যেমন
খায়।
আমি:দেন
তো
২০টাকার।

তিনি দিলেন,খেতে খেতে জিজ্ঞেস করলাম এমনে বিক্রি করে লাভ হয় কিনা,বলল
সে সহজ সরল মানুষ দিনশেষে /৫০০ইনকাম হলেই
তার চলে।

এমন সময় একজন বলল সে প্রতি সপ্তাহে
অর্ডার দিবে ২০০প্যাকেট।তানভীর ভাইয়ের সাফ মানা,তিনি বলেন এত ঝামেলায় তিনি
নাই। আমি তাকে বললাম ভাই বিক্রি করলে তো আপনারই লাভ,তিনি আমায় মোটামুটি ঝাড়ি দিয়ে বললেন তার লাভের দরকার নাই,আরো বলেনআমি সহজ সরল মানুষ,এত ভেজালে আমি
নাই,অর্ডারের কাম মাইনষে করে,আমি করিনা।

তখনই বংশাল থেকে আরো দুজন তাকে খোঁজে বের করল,তার নাম জিজ্ঞেস করতেই বলেসবাই আমার নাম জানেন কেমনে।সে দুইজন বলে
আপনি তো ফেমাস হয়েগেছেন
তিনি বলেআর কইয়েন না,
কোন ছেরা ফেসবুকে দিয়াদিছে আর আজকে আমি
বেইচ্চা কুল পাইনা,ঝামেলাডা বাড়াইছে আমার।

এমন সময় এক পিচ্ছি ছেলে
১০টাকার তেহারী খেতে গিয়ে হাত থেকে ফেলে দিলো,তিনি তাকে আবার তেহারী দিলেন টাকা ছাড়াই।

খাবার শেষ করতে করতে বুঝলাম তিনি অত্যন্ত সরল সোজা একজন মানুষ,যার কোন অর্থলোভ নাই। কেউ ইচ্ছা করলে একবার দেখে আসতে পারেন। তবে কারো যদি নাক সিটকানোর অভ্যাস থাকে তবে না যাওয়াই ভালো,
কেননা পরিবেশ ভালোনা। তবে দামের তুলনায় খাবারের স্বাদ ভালোই লাগলো। লোকটাকে কেমন যেনো ভালো লাগলো

লেখা ও ছবি ইমন হাসান এর ফেুসবুক থেকে
নেওয়া।
মানিকগঞ্জ২৪/ ৩১ জানুয়ারী/ ২০১৮।
আরও পড়ুন:

ভোটের বছরে একদলের নির্বাচনী প্রচার শুরুর দিন অন্যদল আদালতে

আরো পড়ুুন