সাটুরিয়ার বালিয়াটী- মুন্সিচড় সড়কের বাকে বাকে পুকুর

মোহাম্মদ হাসান ফয়জী ॥ সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটী- মুন্সিচড় সড়কের বাকে বাকে পুকুরে পরিণত হয়েছে। এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে কাচা থাকায় এ বছর বালিয়াটী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়। বাকী সড়ক থেকে মুন্সিচড় জগা মার্কেট পযন্ত ইট সেলিং কাজ শুরু হয়। কিন্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ না করেই চলে যাওয়াতে এ সড়কটি দুর্ভোগের পাহারে পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখ যায়, ইট সেলিং করার জন্য মুন্সিচর সড়কটি মাটি কেটে উপযোগী করে বালি ফেলা হয়। কিন্তু রমজান মাসে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ করে দেয়। চলতি বর্ষা মৌষুমে বৃষ্টি হলে এ সড়কটি সম্পূর্ণ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সড়কটি অন্তত ১০-১৫ টি স্থানে কয়েক মিটার গভীর গর্ত হয়ে ছোট ছোট জলাশয় তৈরি হয়েছে। দুর থেকে মনে হবে সড়কের বাকে বাকে পুকুর।

এ  ব্যাপারে আতুল্লা গ্রামের আমিনুর রহমান জানান, এ সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এ সড়ক দিয়েই ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র- ছাত্রীদের চলাচল করে। বৃষ্টিতে কাদায় নাকানি চুবানি খেয়েই পার হতে হয় তাদের।

মুন্সিচড় গ্রামের মরন জানান, ধামরাই, মির্জাপুর উপজেলার আংশিক ও সাটুরিয়া উপজেলার মানুষ এ সড়কটি ব্যাবহার করে । কিন্ত চলতি বৃষ্টির পর থেকে এ সড়কে সিএনজি অটো রিক্সা সম্পুর্ণ বন্ধ রয়েছে। ফলে এসব এলাকার মানুষদের নিধারুন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

আতুল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আবুল কালাম আযাদ বলেন, আমার মটর সাইকেল থাকার পরও এ সড়কে চালাতে পারি না। কয়েকদিন বাইসাইকেল নিয়ে স্কুলে যেতাম দুই সপ্তাহ ধরে তাও যেতে পারছিনা । এভাবে একটি গুরুত্তপূর্ন সড়ক বেহাল অবস্থায় থাকলেও কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ কেন বুঝে আসছে ন।

এদিকে এ সড়কের আশে পাশের গ্রামের মানুষদের সীমাহীন কষ্ট করে চলাচল করতে হচ্ছ। মাটি কেটে সড়কের পাশে রাখায় বৃষ্টির পানিতে তা পড়ে যাচ্ছে। এ সড়কের অন্তত ২০-২৫ টি স্থানে এমন কাদা হয়েছে পায়ে হেটে চলায় কষ্ট হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বালিয়াটী ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র রাসেল জানান, আমরা স্কুলে যাবার সময় প্রায় কাদায় পড়ে যাচ্ছি। তাছাড়া এত কাদা হয়েছে যে ১০ মিনিটের রাস্তা হেটে যেতে সময় লাগছে ২০-২৫ মিনিট। আর যেদিন বৃষ্টি থাকে সেদিন ড্রেস ব্যাগে নিয়ে স্কুলের কাছে গিয়ে স্কুল ড্রেস পড়তে হয়।

এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা উপ- সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক জানান,  ৫২ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বালিয়াটী- মুন্সিচর সড়কটি ইট সলিং এর কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। আমি আন অফিসায়িলি যতটুকো জানি ইটের দাম বেেেড় যাওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখেছে। আমরা কাজ শুরু করার জন্য লিখিত ভাবে জানান ঐ প্রতিষ্ঠান কে।

মানিকগঞ্জ২৪/ হা. ফ/ ২৪ জুলাই/ ২০১৭ইং।

আরো পড়ুুন