ইচ্ছে করলেই মা বলে ডাকতে পারি না

মো.
নয়ন
খান:
জীবন ও জীবিকার তাগিদে ২০১৫ সনের মে মাসে সৌদি
আরবের দাম্মাম শহরে আসি। এখানে
একটি
কোম্পানিতে
কাজ
পাই। মা,
বাবা,
ভাই,
বোন

বন্ধু
বান্ধব
ছেড়ে
দূর
কাজ
করছি।
প্রবাস
জীবনে
সুখ
দুঃখ
দুটিই আছে। তবে আমরা প্রবাসীরা
সুখের
চাইতে
দুঃখের
ভাগীদার
বেশি।
ইচ্ছে
করলেই
 
মাকে কাছ থেকে মা বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারি না।  সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে হাত মুখ ধুয়ে মায়ের আচল দিয়ে মুখ মুছতে পারি না। মায়ের হাতের রান্না সেই কবে যে খেয়েছি।
খুব
ইচ্ছে করে মার হাতের খাবার খেতে। এখানে
 
সারাদিন কাজ শেষে গভীর
রাতে
 
বাসায় ফিরতে হয়। ক্লান্ত শরীর নিয়ে  রান্না করে খা্ই। নিজের
জামা
কাপড়সহ
সব নিজের কাজ নিজেকেই করতে হয়।


কিন্তু
খুবর বেশী খারাপ
লাগে
যখন
দেখি
আমাদের
প্রবাসীদের
নিয়ে
মানুষ
খারাপ
মন্তব্য
করতে।
প্রবাসীদের
বলা
হচ্ছে
কামলা,
প্রবাসীদের
নিয়ে
খারাপ
ভিডিও
বানিয়ে
ইউটিউবে
ছাড়ছে।
ভাই
যারা
প্রবাসে
থাকে
তারা
জানে
তারা
বুঝে
না
প্রবাস
কি
জিনিস।
 
প্রিয়
দেশ ও মাটি ও পরিবার
ছেড়ে প্রবাসে থাকা কত টা কষ্টের। বিদেশ থেকে শ্রম ছাড়া টাকা আয় করা যায়
না।
আমরা
যারা
কোম্পানিতে
কাজ
করি

ঘন্টা
রোদে
পুড়ে
বৃষ্টিতে
ভিজে
কোম্পানির
কাজ
শেষে
রোমে
এসে
শুধু
খাবার
খেয়ে
 
আবার বের হয়।  কোন কাজ পাওয়া যায় কিনা।
প্রবাস
জীবন
অনেক
কষ্টের।
 
ভালো লাগে যখন দিন শেষে  ফোনে মা বাবার সাথে কথা বলি। তখন আর দুঃখ বলে কিছু থাকে না।  যখন মা আমাকে বাজান বলে ডাকে বলে। তখন ক্লান্ত শরির বরফের মত ঠান্ডা হয়ে যায়।
 
দাম্মাম
শহরে
অধিকাংশ
প্রবাসী
বাঙ্গালী
আর
আমাদের
মানিকগঞ্জের।
 
যখন দেশের মানুষের
সাথে
দেখা
হয়
কথা
হয়,
তখন
অনেক
ভাল
লাগে।
এর
চাইতে
ভাল
লাগে
মাস
শেষে
যখন
বেতন
পেয়ে
টাকা
বাড়িতে
পাঠাই।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

 
হাজার
হাজার
বাঙ্গালী ভাইয়েরা
বর্তমানে
কফিল
ভিসায়
এসে
কান্না
করছে
কাজ
না
পেয়ে।
কয়েক
দিন
আগে
সকালে
এক
খাবার
হোটেলে
নাস্তা
করতে
গেলাম।
হোটেল
মালিক
অন্য
এক
প্রবাসী
ভাই
কে
বলছে,
আপনার
দেড়
মাসের
খাবারের
বিল
বাকি,
আপনি
টাকা

দিচ্ছে
না,
হোটেলও
আসছেন
না।
 
তখন প্রবাসী জবাবে বল্লেন ভাই দেড় মাসে মাত্র ১১ দিন কাজ করেছি। এখনো
টাকা
পাইনি
লজ্জায়
আপনার
হোটেলে
আসি
না। 
যারা
সৌদি আরবে আসতে চাচ্ছেন। সেই সমস্ত  ভাইদের
বলছি, আপনারা দেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশেই কিছু করেন। তবে সবাই যে এখানে কষ্টে আছে তা
নয়। কাজ ও ভাষা বুঝতে পারলেও এখানেও ভাল আয় করা সম্ভব।
লেখক:
মানিকগঞ্জের সিংগাইরের সন্তান মো.
নয়ন খান,  বর্তমানে সৌদি আরবের দাম্মামে কর্মরত। 
মানিকগঞ্জ২৪/
হা.ফ/ ২১ জানুয়ারী/ ২০১৮।
আরও
পড়ুন:

দেশের প্রিয় মানুষগুলিকে ভালো রাখতেই অভিনয় করি সুখী মানুষের

আরো পড়ুুন