জাহিদুল বাশার : চুক্তি
হইল কিন্তু আমাদের কপালের ভাজ তো গেল না।
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে নাকি অন্তত ১০বছর সময় নেবে মিয়ানমার!
হইল কিন্তু আমাদের কপালের ভাজ তো গেল না।
রোহিঙ্গাদের ফেরাতে নাকি অন্তত ১০বছর সময় নেবে মিয়ানমার!
গতকাল (২৩
নভেম্বর) নেপিডোতে বাংলাদেশ–মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সমঝোতা চুক্তি হওয়ার পর বেশ ভাল
লাগছিল। মাথার ওপর থেকে জাতীয় বোঝা কমছে নাগরিক হিসেবে তো সবারই খুশি
হওয়ার কথা। আমিও হয়েছিলাম, কিন্তু হঠাৎ মনে হল দেশি টিভির
ব্রেকিং নিউজ দেখে বসে না থেকে বিদেশী
মিডিয়ায় চোখ বুলালে মিয়ানমারের হাড়ির খবর হয়তো খানিকটা জানা যেতে পারে। এবিসি, রয়টার্স ঘুরে আল জাজিরা অনলাইনে
চোখ আটকে গেল।
মিয়ানমারের
ত্রাণ
পূনর্বাসন
ও
সমাজকল্যাণ
মন্ত্রী
win myat Aye বলেছে
ন ” প্রতিদিন ৩০০ কোরে
রোহিঙ্গাকে
ফেরত
নেয়া
হবে।
” তাহলে
হিসেবটা
কী
দাঁড়ায়।
নতুন আসা
৬
লাখ সহ
আগেরগুলো
মিলিয়ে
প্রায়
১১
লাখ
রোহিঙ্গা
বাংলাদেশে।
মন্ত্রীর
বক্তব্য
অনুযায়ী
সবাইকে
নিতে
১০
বছরের বেশী
সময়
লাগাবে
তারা।
কারণ এই
চুক্তিতে
কোথাও
বলা
নেই
যে,
সবাইকে
কত
দিনের
মধ্যে ফেরত
নেবে
মিয়ানমার।
সুতরাং ১০
বছর
কেন,
তার
চেয়েও
বেশী
সময়
লাগালেও
কিছু
করার
নেই।
বক্তব্য
অনুযায়ী
সবাইকে
নিতে
১০
বছরের বেশী
সময়
লাগাবে
তারা।
কারণ এই
চুক্তিতে
কোথাও
বলা
নেই
যে,
সবাইকে
কত
দিনের
মধ্যে ফেরত
নেবে
মিয়ানমার।
সুতরাং ১০
বছর
কেন,
তার
চেয়েও
বেশী
সময়
লাগালেও
কিছু
করার
নেই।
একই
সাথে
আরেকটি
আশঙ্কার
কথা
বলেছেন
লন্ডন
প্রবাসী
রোহিঙ্গা
নেতা
Nay Sew Lwin।
তার
ধারণা
“রোহিঙ্গাদের
ফেরত
নিয়ে
রাখাইনে
তাদের
বাড়িঘরে
না
নিয়ে
ক্যাম্পে
রাখা
হবে।
যেখানে
কোন
মৌলিক
অধিকারও
নিশ্চিত
করা
হবে
না।
উঠতে
বসতে
চলানো
হবে
নির্যাতন।
যে
কাজটি
আগের
ফেরত
নেয়াদের
ক্ষেত্রেও
করা
হয়েছে“।
তাহলে
আমাদের
সাথে
গতকাল
(২৩ নভেম্বর) যে
চুক্তি মিয়ানমার
করল
তার
উদ্দেশ্যে
কিছুটা
নিশ্চয়
আঁচ
করতে
পারছেন
আপনারা।
আমার
মনে
হয়
আন্তর্জাতিক
প্রেসারের
মুখে
তারা
গা
বাঁচানোর
একটি
চুক্তি
করে
বিশ্বকে
দেখালো।
তাছাড়া আগামী ২৬
নভেম্বর
পোপ
ফ্রান্সিস
মিয়ানমারে
যাচ্ছেন
সেখানে
তিনি
রোহিঙ্গা
নির্যাতনের
কথা
তুললে
যাতে
সু
চি
কোন
সদুত্তর
দিতে
পারেন
তার
একটা
উপায়
হিসেবেও
এই
চুক্তি।
নভেম্বর
পোপ
ফ্রান্সিস
মিয়ানমারে
যাচ্ছেন
সেখানে
তিনি
রোহিঙ্গা
নির্যাতনের
কথা
তুললে
যাতে
সু
চি
কোন
সদুত্তর
দিতে
পারেন
তার
একটা
উপায়
হিসেবেও
এই
চুক্তি।
চুক্তিকে
আমরা
যারা
সহজ
ভাবে
নিতে
পারছিনা
তাদের
বড়
যুক্তি
হল,
মিয়ানমারের
অতীত
আচারণ
আর
মাত্র
কদিন
আগে
দেশটির
সেনা
প্রধান
মিন
অং
লেইং
এর
বক্তব্য।
বলেছেন
” মিয়ানমারের
সত্যিকারের
নাগরিকরা
যদি
তাদের
(রোহিঙ্গারা)
মেনে
নেয়
তাহলেই
কেবল
তারা
রাখাইনে
ফিরতে
পারবে,
অন্যথায়
না।
লেখা
জাহিদুল বাশার এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
জাহিদুল বাশার এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।
মানিকগঞ্জ২৪/
২৪ নভেম্বর/ ২০১৭।
২৪ নভেম্বর/ ২০১৭।
আরও
পড়ুন:
পড়ুন: