মুন্নুর জানাযা নামাজের মাঠ থেকে গণহারে মোবাইল চুরি

মোহাম্মদ হাসান
ফয়জী: বিএনপির সাবেক
মন্ত্রী, চেয়ারপার্সন বেগম
খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও
মুন্নু গ্রুপ অব
ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ খান মুন্নুর বৃহস্পতিবার
জানাজার নামাজ 
থেকে গণহারে  মোবাইল ও
টাকা চুরির
ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার
তার প্রিয়
প্রতিষ্ঠান ধামরাই
সিরামিক কারখানার
মাঠ থেকে
শুরু করে
মুন্নু মেডিকেল
কলেজ মাঠ
পর্যন্ত প্রত্যেক
জানাযার নামাজের
স্থান থেকেই
টাকা ও
মোবাইল খোয়া
যাওয়ার ঘটনা
ঘটেছে।

মোবাইল
চুরির হাত থেকে রেহাই
পাননি মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সাধারণ সম্পাদক ও
দৌলতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ
তোজাম্মেল হক তোজা, জেলা
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক
সম্পাদক কাজী নাদিম হোসেন
টুয়েল এবং বাংলাভিশন মানিকগঞ্জ
জেলা প্রতিনিধি আকরাম হোসাইনের মোবাইলও।

বিএনপির
নেতা কর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার
 দুপর সাড়ে ১২ টায়
ধামরাইয়ের ইসলামপুরে মুন্নু সিরামিক লিঃ
মাঠে ৩য় জানাযা,দুপুর ১.৩০
মিনিটে সাটুরিয়া সৈয়দ
কালুশাহ ডিগ্রী কলেজে ৪র্থ
জানাযা শেষে, দুপুর
২.৩০ মিনিটে মানিকগঞ্জ
সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ মাঠে ৫ম
জানাযা, বিকাল ৩.৩০
টার দিকে  হরিরামপুর
পাটগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে
৬ষ্ঠ  জানাযার পর গিলন্ডের মুন্নু
মেডিকেল কলেজ মাঠে  ৭ম
জানাযার প্রত্যেক জানাযায় মোবাইল ও টাকা চুরি
যায়।

সাটুরিয়া উপজেলা
ছাত্রদলের সাবেক
সাধারণ সম্পাদক
আমির হামজা
জানান, প্রিয়
নেতার জানাযায়
মুন্নু সিরামিক
থেকে মুন্নু
কলেজ মাঠ
পযন্ত ৫
টি স্থানেই
মোবাইল চুরির
ঘটনা ঘটেছে। যা
খুবই নিন্দনীয়। জানাযার
নামাজে মোবাইল
চুরির প্রথম
খবর আসে
সাটুরিয়া সৈয়দ
কালুশাহ ডিগ্রী
কলেজ মাঠে।

 

একাধিক
বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে
সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ ডিগ্রী
কলেজ মাঠে মুন্নুর জানাযায়
১৫–২০ টি মোবাইল
ও নগদ টাকা খোয়া
যায়। এ মাঠেই সাটুরিয়া উপজেলা বিএনপি নেতা ও
ব্যবসায়ী মোঃ সাজ্জাদ খান
এর দামী মোবাইল, নগদ
২১ হাজার টাকা, সাটুরিয়া
যুবদলের সাবেক নেতা জাহাঙ্গীর
আলম জিকুর মোবাইল সহ
আরও নামা না জানা
অনেকের মোবাইল চুরি গেছে।

এ
ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক
সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা আরও
জানান, আমি জানাযা অনুষ্ঠান উপস্থাপনা
করার সময় অনেক মানুষ
মাইকে ঘোষনা দেবার জন্য
দৌড়ে আসে। তখন বুঝতে
পারি মোবাইল ও টাকা
চুরি যাচ্ছে।

এর
পর বৃহস্পতিবার ২.৩০ মিনিটে
মানিকগঞ্জ সরকারী দেবেন্দ্র কলেজ
মাঠে ৫ম জানাযায় সবচেয়ে
বেশী মোবাইল ও
টাকা চুরি যায়। এখানে মানিকগঞ্জ জেলা
বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সাধারণ
সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা
চেয়ারম্যান মোঃ তোজাম্মেল হক
তোজা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী নাদিম হোসেন
টুয়েল এবং বাংলাভিশন মানিকগঞ্জ
জেলা প্রতিনিধি আকরাম হোসাইনের মোবাইল
চুরি যায়। 

এ
ব্যাপারে বাংলাভিশন মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আকরাম
হোসাইন জানান, দেবেন্দ্র কলেজ
মাঠ থেকে তার ৮
হাজার টাকা দামের মোবাইল চরি যায়। এর আগেও
বিএনপির প্রয়াত নেতা খন্দকার
দেলোয়ার হোসেন এর জানাযার
নামাযেও মোবাইল চুরির ঘটনা
ঘটেছিল।

মুন্নুর
নিজ জেলা মানিকগঞ্জের ৫ টি জানাযা নামাজের স্থান থেকে অন্তত শতাধিক মোবাইল ও প্রায়
লক্ষাধিক টাকা চুরি গেছে বলে ধারণা করছেন তার লাশ বহনকারী সফর সঙ্গী বিএনপির নেতা
কর্মীরা।

এ
ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি
মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান, বড়
বড় জানাযার নামাজে অনেক লোকের
সমাগম হয়ে থাকে। আর
এমন সংবাদ আগে থেকে
খোঁজ নিয়ে বহিরাগত চুর
এসে এমন ঘটনা ঘটাতে
পারে।

মানিকগঞ্জ২৪/
হা.ফ/ ৪ আগস্ট/
২০১৭।