মিঞাযুগের অবসান ………………………

সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু: মানিকগঞ্জের রাজনীতির
বটবৃক্ষ ১০মিঞার ৯মিঞাই পরলোকে চলে গেছেন। অথচ এঁদের কারও
বংশপদবীতে”মিঞা”নেই। ছিল খান,খোন্দকার,নয়তো রহমান । অথচ সাধারণ মানুষ
তাঁদের কাউকে তাঁদের বংশ পদমর্যাদা ধরে ডাকতো না।

সাধারণ মানুষের ডাকা
এই “মিঞা”রা সবাই মানিকগঞ্জের খ্যাতিমান এবং জনপ্রিয় রাজনীতিক ছিলেন। একই
সাথে এই মিঞারা তাঁদের রাজনৈতিক জীবনে হয় মন্ত্রী,চীফহুইপ,নয়তো কমপক্ষে
এমপি ছিলেন।

মুসলিম লীগ নেতা মসিহ উদ্দিন আহমেদ রাজা,পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ছিলেন
সবার কাছে তাঁর পরিচয় ছিল রাজা মিঞা হিসেবে। আওয়ামী লীগ নেতা খোন্দকার
মোজাহারুল হক ,পাকিস্তান গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। সাধারণ মানুষ তাঁকে ডাকতো
চাঁন মিঞা নামে। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার সদস্য মোসলেম উদ্দীন খান, সাধারণ
মানুষের কাছে পরিচিত ছিলেন হাবু মিঞা হিসেবে। আরেক আওয়ামী লীগ নেতা আবু
মোহাম্মদ সায়েদুর রহমান,সংসদ সদস্য ছিলেন, সবাই ডাকতো সায়েদুর মিঞা। 




বিএনপি নেতা,মন্ত্রী ও এমপি ছিলেন শামসুল ইসলাম খান। সবাই ডাকতো নয়া মিয়া।
খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন,এমপি,চীফহুইপ ছিলেন। সাধারণ মানুষ ডাকতো দেলোয়ার
মিঞা। বিএনপি নেতা নিজাম উদ্দিন খান এমপিকে ডাকতো নিজাম মিঞা,বিএনপি নেতা
আব্দুল ওয়াহাব খান এমপিকে ডাকতো ওহাব মিঞা হিসেবে এরা সবাই বেশ কয়েক বছর
আগে ইন্তেকাল করেছেন। সবশেষে পরলোকে গেলেন বিএনপি নেতা সাবেক মন্ত্রী,এমপি
হারুণার রশিদ খান মুন্নু। সবাই ডাকতো মুন্নু মিঞা হিসেবে। 


এই “মিঞা
“দের মাঝে একজন মাত্র জীবিত আছেন। তিনি হলেন সাবেক আওয়ামী লীগ
নেতা,বর্তমানে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাবেক এমপি,মফিজুল
ইসলাম খান কামাল। সবার কাছে তিনি কামাল মিঞা।
এদের বাইরে জেলার রাজনীতিতে প্রভাবশালী জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব,এমপি মন্ত্রী যাঁরা রয়েছেন তাঁদেরকে কেউ “মিঞা” বলে ডাকেন না ।



সাইফুদ্দিন আহম্মেদ নান্নু এর ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া।


মানিকগঞ্জ২৪/ ৩ আগস্ট/ ২০১৭।

আরো পড়ুুন