মানিকগঞ্জ২৪ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ শহরের নাগ জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি জড়িত চারজন ও লুন্ঠিত মালামাল হেফাজতে রাখা তিনজনসহ এই পর্যন্ত সাত ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ ভরি স্বর্নালংকার, ডাকাতিকাজে ব্যবহৃত পিস্তল, মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার মাহ্ফুজুর রহমান বিপিএম তার নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন নাগ জুয়েলার্সে ডাকাতির পর থেকে জেলা পুলিশের কয়েকটি দল দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত কিছু স্বনালংকার মালামাল উদ্ধার করে। বাকী ডাকাতদের গ্রেফতার ও লুন্ঠিত স্বর্নালংকার উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আটক করার সময় তাদের কাছ থেকে ১ টি পিস্তল, বিদেশে তৈরী ১টি পাইপগান, ৬ রাউন্ড গুলি, ২ রাউন্ড কার্তুজ, ৯ ককটেল, ১টি মাইক্রোবাস, ১টি মোটর সাইকেল, ৫ ভরি ১৫ আনা স্বর্ণ, ৩ ভরি রূপা এবং নগদ ১ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
আটককৃতরা হলেন, পিরোজপুর থানার ভান্ডারিয়া থানার ভিটাবাড়ী এলাকার আব্দুর রহিম মোল্লার ছেলে সোহেল মোল্লা ওরফে সাইফুল মোল্লা (২৬), পাবনা জেলার আতাইকুল থানার কাজীপুর এলাকার শহিদ লস্করের ছেলে মোঃ রানা বারেক (৩৬), নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার মঙ্গলপুর এলাকার কাজী টুকুর ছেলে মোঃ ইনসান কাজী হাসান (৩৬), কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানার দুধখাওয়া মন্ডলপাড়া এলাকার রুবেল আলমের স্ত্রী কামরু নাহার কেয়া (২৭), কুড়িগ্রাম জেলার পশ্চিম কল্যাণ ধুলাউড়া এলকার মানিক মিয়ার ছেলে আরিফুল ইসলাম আরিফ (১৮), বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার মহেশপুর এলাকার আবু জাফর মিয়ার ছেলে ফরিদ (২৯) এবং ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার দশহাজার ঢেউখালী এলাকার সুলতান খানের ছেলে আলী খান (৪৫)।
পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আরো জানান, এ ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি ডাকতি মামলা, একটি অস্ত্র মামলা, একটি বিস্ফোরক মামলা এবং সাটুরিয়া থানায় একটি অস্ত্র মামলা, একটি বিস্ফোরক মামলা ও দুইটি পুলিশ এ্যাসল্ট মামলাসহ সর্বমোট পৃথক ৭ টি মামলা রূজু হয়েছে।
অস্ত্র ও ডাকাতি মামলার পলাতক আসামী এবং লন্ঠিত মালামার উদ্ধারের লক্ষে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২৭ নভেম্বর/ ২০১৭।
আরও পড়ুন: