এস.কে.এম. হেদায়েত উল্লাহ্।। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ ছাত্রলীগ কর্মীর মারধরের শিকার হলেন মানিকগঞ্জের ঘিওরের এক শিক্ষার্থী।ঐ শিক্ষার্থীর নাম সাদিকুল ইসলাম টিমন।টিমন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের (৪৬-তম আবর্তন) শিক্ষার্থী।
ঘটনাসূত্রে জানা যায় গত ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে টিমন আ.ফ.ম. কামালউদ্দীন হলের টিভিরুমে টিটি খেলছিল।এসময় ৪৫-তম আবর্তনের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের মৃধা এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের সাদ্দাম সাদিকুলকে চুল বড় কেন ও নিয়মিত হলে থাকে না কেন তা জিজ্ঞেস করে ও এ অজুহাতে চড়-থাপ্পড় দেয়।এক পর্যায়ে হলের বাইরের গাছ থেকে ডাল কেটে এনে টিমন কে বেধড়ক পেটায়।এতে টিমনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালশিট পড়ে যায়।
পরে টিমনের পরিবার বিচারের জন্য শনিবার(২২ জুলাই) বিচারের জন্য আ.ফ.ম. কামালউদ্দীন হলে আসে।এসময় ছাত্রলীগ নেতারা বিচারের আশ্বাস দেয় টিমনের পরিবারকে।তাই তারা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ না দিয়ে ফিরে যায়।
এ বিষয়ে মারধরের শিকার টিমনের মা বলেন,”ওরা আমার ছেলেকে অনেক মেরেছে।শরীরের অনেক স্থানে দাগ পড়ে গেছে।” বিষয়ে মৃধা ও সাদ্দাম মারধরের ঘটনা শিকার করে বলেন গত সোমবার টিমন ও তার সাভারের বন্ধুরা মীর মশাররফ হোসেন হলের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৬-তম আবর্তনের শিক্ষার্থী তানভীরকে মারধর করেছে তাই টিমনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ২/৪ টি চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে তানভীর বলেন,”আমার সাথে এমন কিছু ঘটেনি।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ও আ.ফ.ম. কামালউদ্দীন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী জুয়েল রানা বলেন,”দুপুরে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর পরিবারের সাথে কথা বলে মীমাংসা করা হয়েছে বলে শুনেছি।আর ক্যাম্পাসে সিনিয়র কেউ জুনিয়রকে মারধর করুক আমি তা সমর্থন করি না।এটি অবশ্যই বিচারের দাবি রাখে।”
এ বিষয়ে আ.ফ.ম. কামালউদ্দীন হলের প্রাধ্যক্ষ শিকদার জুলকারনাইন বলেন,”শনিবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবার ক্যাম্পাসে এসেছিল।তারা অভিযোগপত্র দেয় নি।অভিযোগপত্র জমা দিলে এ ঘটনায় দায়ী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
মানিকগঞ্জ২৪.কম/হে.উ./২৩ জুলাই/২০১৭