সাটুরিয়া প্রতিনিধি ॥ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় গাভীর দুধের দাম ৮০ টাকা। প্রতি বছর ঈদের আগে ও পরের ২/৩ দিন দুধের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায় বলে জানালেন কয়েক বাজারের দুধের ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
সারা বছর কর্মজীবনের জন্য গ্রামের মানুষ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থাকলেও ঈদ এলেও গ্রামের মানুষ ছুটে আসে নিজ বাড়ীতে। আর উৎসবে দুধের দাম বেড়ে যাওয়ায় খামারীও খুশি। তবে ক্রেতারা দুধের দাম বেশী হলেও ঈদ আনন্দ থাকায় খুব একটা নারাজ নন।
সাটুরিয়া উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজারে সোমবারও সকালে দুধের দাম ৭০-৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হযেছে। এমন চিত্র ঈদের ২/ ১ আগে থেকেই শুরু হয়।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ খুরশেদ আলম জানান, ঈদ এলেই শহর কিংবা বিভিন্ন জেলায় কর্মরত চাকুরি জীবীরা ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ীতে আসায় দুধের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই ঈদের কয়েকটা দিন দুধে দাম বেড় যায়। তবে মঙ্গলবার থেকেই দুধের স্বাভাবিক দামে ফিরে আসবে বলে দাবী করেন।
সোমবার উপজেলা বালিয়াটী, ভাটারা বাজারে ঘুরে দেখা গেছে গাভীর দুধ ৭০-৮০ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। বালিয়াটী বাজারে গিয়ে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে দেখা যায়, নির্ধারীত সময়ের আগেই দুধ শেষ হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে গাভীর মালিক পাখি জানান, ঈদের আগে ও পরের ২/৩ দিন দুধের দাম বেশী যায়। তবে অনেক সময় ঢাকার বেপারী না আসলে আমাদের ২৫-৩০ টাকা লিটাদের বিক্রি করতে হয়। তাই এই ঈদ মৌসুমে একটু বেশী দামে বিক্রি করতে পারলে আগের ক্ষতি পুষিয়ে যায়।
দুধ বিক্রি করতে আসা জলিল জানান, ৫ লিটার দুধ নিয়ে আসছিলাম, রাস্তা থেকে এক ক্রেতা ৭০ টাকা লিটারে নিয়ে গেছে। বাজারে গিয়ে বিক্রি করতে পারলে আরও ৫০ টাকা বেশী দামে বিক্রি করতে পারতাম।
এ ব্যাপারে দুধ কিনতে আসা হুমায়ন কবির জানান, সারা বছর চাকুরীর সুবাধে বাড়ীতে থাকা হয় না, এই ঈদ উপলক্ষে বাড়ীতে থাকা হয়। দুধের দাম বেশী হলেও ঈদ আনন্দে মেহ্মানদারী করতে পেরে খুশি। ঈদ ছাড়া ত এত মানুষ একত্রে পাওয়া যায় না।
তবে বালিয়াটী গ্রামের জয়নাল আবেদীন বলেন বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসলেই সাটুরিায় দুধের দাম কমে যায়, আবার উৎসব আসলেই দুধের দাম বেড়ে যায়, তাই এই এলাকায় একটি দুধ সংরক্ষণের ব্যাবস্থা করলে এমন অস্বাভাবিক ভাবে দুধের দাম উঠা নামা করত না বলে দাবী করেন।
সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ খুরশেদ আলম জানান, সাটুরিয়ায় একটি দুধ উৎপাদনকারী উপজেলায়। তাই এখানে যোগদান করেই মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এ উপজেলায় দুধ সংরক্ষণ তৈরি করার প্রস্তাব করেছি।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ৪ আগস্ট/ ২০১৭।