মানিকগঞ্জ২৪ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার আটিগ্রাম ইউনিয়নের জাগির দিঘুলিয়া এলাকায় মারা যাওয়ার প্রায় সাড়ে ৩
মাস পর কবর থেকে এক
কৃষকের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ।
মাস পর কবর থেকে এক
কৃষকের মরদেহ উত্তোলন করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্যে কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।
উদ্ধার করা ওই মরদেহটি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগির দিঘুলিয়া
গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মৃত বারেক মিয়ার।
গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে মৃত বারেক মিয়ার।
মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ–পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোতালেব হোসেন জানান, দিঘুলিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে বারেক মিয়া। পিতা আব্দুর রশিদের সাথে পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো ছেলে বারেকের।
সংসার জীবনে বারেক দুই কন্যা সন্তানের জনক থাকায় তাকে পৈত্রিক ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করা হবে বলে কথিত ছিলো। এরপর চলতি বছরের ৩ জুলাই ধান ক্ষেতের পাশের একটি মেশিন ঘরে বারেকের মরদেহটি দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে সামাজিকভাবে মিমাংসা করে ওই মরদেহটি দাফন করা হয়। এসময় আব্দুর রশিদ তার ছেলে বারেকের প্রাপ্য ৭২ শতাংশ জমি ছেলের বউ সেলিনা বেগমকে দলিল করে দিয়ে দেন।
এর কিছু দিন পরে তার নিকট থেকে জোরপূর্বক ৭২ শতাংশ জমি চক্রান্ত করে নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে জমিগুলোর দলিল বাতিলের মামলা করেন আব্দুর রশিদ। মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজ পত্রাদি বারেকের স্ত্রী সেলিনা বেগমের বরাবর গেলে তিনি মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হন।
এরপর সেলিনা বেগম বাদি হয়ে তার স্বামী বারেক মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন করার জন্যে মরদেহটি উত্তোলন করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১৬ অক্টোবর/ ২০১৭।
আরও পড়ুন: