সাটরিয়া প্রতিনিধি: জেলার সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি গ্রামের সুভাষ ও হরগজ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম দুজনই বীজ বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে দরগ্রাম বাজারে বীজ বিক্রির ব্যাবসা করে আসছিল। এ সুযোগে এ দুই ব্যবসায়ীরা নিজ নামে কম্পানি খুলে ভেজাল সবজির বীজ তৈরি করে তা বাজারজাত করে আসছিল।
এমন খবর পেয়ে সাটুরিয়া কৃষি অফিসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের কারখানায় গিয়ে সত্যতা পান। পরে বিকাল সাড়ে ৪ টা দিকে দরগ্রাম বাজারেই সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ ফারাজানা সিদ্দিকী ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভোজাল বীজ উৎপাদন ও মেয়াদউত্তীর্ণ বীজ বিক্রির দায়ে অভিযোক্ত দুই ব্যাবসায়ীকে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড
সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ এমদাদুল হক জানান, উপজেলার তিল্লি গ্রামের মৃত: গবিন্দ মন্ডলের পুত্র সুভাষ মন্ডল (৩৫) প্রায় ১০ বছর ধরে এবং হরগজ গ্রামের ওহাবের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম ( ৪০) ১৫ বছর ধরে দরগ্রাম বাজারে বীজের ব্যাবসা করে আসছে। কিন্তু আমাদের নিকট খবর আসে তারা দুজনই ভেজাল বীজ উৎপাদন করে দীর্ঘদিন ধরে বাজারজাত করে আসছিল।
বিষয়টি সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী কে জানালে তিনি আমাকে নিয়ে দরগ্রাম বাজারে তাদের বিক্রয় কেন্দ্রে যাই। তাদের বিক্রয় কেন্দ্র ও গুডাউন তল্লাসি করে দেখা যায়, সিম, লাউ, করলা, ভুট্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতীর সবজির ভেজাল বীজ উৎপাদন করছে। তাদের নিকট সংরক্ষিত থাকা প্রায় বীজই মেয়াদত্তীর্ণ ছিল।
দরগ্রাম এলাকার পুনাইল গ্রামের কৃষক মোঃ দুলাল হোসেন, দরগ্রামের বাবুল হোসেন ও সুজন মিয়া জানান, ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিভিন্ন বীজ কোম্পানির প্যাকেট নকল করে নিজে প্যাকেটজাত ও মেশিন কিনে বাড়ির ভুট্টা,সীম, লাউসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজি বীজ প্যাকেট জাত করে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করছে। এতে এলাকার হাজার হাজার কৃষক প্রতারণার শিকার হয়েছে।
সাটুরিয়া কৃষি অফিস জানান, সুভার মন্ডল সজিব এন্টার প্রাইজ নামে দোকান নিয়ে কাদেরী ১০০ ভুট্রা বীজ উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছিল। অপরদিকে জাহাঙ্গীর আলম আলী বীজ ভান্ডার নামে দোকান ও বীজ উৎপাদন করে আসছিল।
এই ২ দোকানে অভিযান চালানোর সময় ১০০ প্যাকেট ভেজাল ও মেয়াদ উর্ত্তীণ বীজ এবং বীজ প্যাকেটজাত করণ একটি মেশিনও জব্দ করা হয়।
সাটুরিয়ার উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী জানান, ভেজাল বীজ উৎপাদন এবং মেয়াদ উত্তীণ বীজ রাখার দায়ে দুই ব্যবসায়ীকে ১লাখ ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ৩১ অক্টোবর/ ২০১৭।
আরও পড়ুন: