সাটুরিয়ায় অবৈধ ভবন ভাঙ্গার নির্দেশ

সাটুরিয়া প্রতিনিধি: জেলার সাটুরিয়ায় সরকারি জমি দখল করে দ্বিতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগে এক প্রবাসির ভবন ভাঙ্গার নির্দেশ দিলেন সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী।

আগামী ১০ দিনের মধ্যে ভবনের একাংশ না ভাঙ্গলে ভোল্ট ডোজ্রার দিয়ে ভেঙ্গে ফেলা হবে হবে তিনি সতর্ক করেন। কিন্তু আদো ওই ভবন স্থানীয় প্রশাসন ভাঙ্গতে পারবে কি তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন স্থানীয়রা।

অপরদিকে এই ভবন নির্মাণে সাটুরিয়ার সহকারি ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও সহকারি তহশীলদার  আর্থিক সুবিধা নিয়ে সহায়তা করেনছেন বলেও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।

সাটুরিয়া বাজারের আমেরিকান প্রবাসী মোঃ সাহাজান খান জানান, দ্বিতল ভবনের স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু  করার আগে স সার্ভেয়ার মোঃ হান্নানও সহকারি তহসীলদার মোঃ আজাহারুল ইসলাম তাকে জমির পরিমাণ নির্ধারণ করে দেয়। তাদের পরামর্শের পরেই  ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করি।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক নাজমুস সাদাৎ সেলিম গত ৮ নভেম্বর সাটুরিয়া উপজেলার নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপেক্স ভবন পরিদর্শন করতে আসেন। এ সময় স্থানাীয়রা আমেরিকা প্রবাসীর নির্মিত ভবন সরকারি জমি দক্ষল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এমন অভিযোগ করেন জেলা প্রশাসকের কাছে।   জেলা প্রশাসক প্রবাসী মোঃ সাজাহান খানের কাছে তার জমির নথিপত্র দেখতে চান। জমির নথিপত্র দেখে দেখা যায় জমির একাংশ সরকারি জমিতে স্থাপনা করেছেন। পরে তিনি সাটুরিয়ার ইউএনওকে দ্রুত স্থাপনা ভেঙ্গে সরকারি জমি উদ্ধারে নির্দেশ দেন।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশ পাওয়ার পরই সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই ভবনের  একাংশ ভাঙ্গার নির্দেশ দেন।

জানা গেছে, উপজেলা সদর বাজারের বটতলা এলাকায় আরএস ১১৯০ ও ১১৯১ দাগের ১৮ শতাংশর কাতে ৬ শতাংশ জমিতে অপরিকল্পিত ভাবে ভবন নির্মান করেন আমেরিকা প্রবাসি সাজাহান আলী খান। ওই ভবনে পশ্চিম পাশে বর্তমান নির্মানাধীন সাটুরিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপেক্সর নির্মাণ কাজ চলছে।

প্রবাসি সাজাহান উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারীদের ম্যানেজ করে প্রায় তিন ফুট সরকারি জমি দখল করে ভবন নির্মান করেন। এসময় তিনি বিল্ডিং কোড অমান্য করে নিচে সানসেট না রেখে উপরে গিয়ে আরো দুই তিন ফুট বাড়তি সানসেট নির্মান করে সরকারি জমি দখল করেন।

এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী  মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে ওই ভবন মালিকের জমির সীমানা  পরিমাপ করতে গেলে তার সার্ভেয়ার ও তহশীলদার তাকে ভুল বুঝিয়ে জমির পরিমাপ ঠিক আছে বলে জানান। কিšু‘ স্থানীয় মানুষের তোপের মুখে সার্ভেয়ার ও তহশীলদার স্কীকার করেন ভবনের একাশ সরকারি জমি দখল করা হয়েছে। প্রবাসী সাজাহান খান প্রকৃত জমির মালিক হচ্ছেন ৬৭ ফুট। আর তাকে সার্ভেয়ার হান্নান সরকারি জমিসহ ৭২ ফুট জমি বুঝিয়ে দিয়ে ভবন নির্মান করার নির্দেশ দেন।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী  বলেন, প্রবাসির নবনির্মাণে বিল্ডিং কোড মানেন নি। উল্টো  সরকারি জমি দখল করেছে। সরকারী জমিতে অবস্থিত ভবনের অংশ আগামী ১০ দিনের মধ্যে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে না ভাঙ্গলে অন্যথায় ভোল্ট ডোজ্রার দিয়ে ওই ভবন ভেঙ্গে ফেলা হবে বলেও জানান।  

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ১৫ নভেম্বর/ ২০১৭।
আরও পড়ুন:

মানিকগঞ্জে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরনে স্বামী স্ত্রী দগ্ধ

আরো পড়ুুন