সাটুরিয়ায় শিশুর খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার

সাটুরিয়া প্রতিনিধি, ২০ জানুয়ারী:  মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় অপহরণের ৩ দিন পর ১ম শ্রেণীর ছাত্র জুবায়ের হোসেন (৭) এর খন্ডিত মরদেহ উদ্দার করেছে র‌্যাব- ৪।

এ ঘটনায় ২ যুবক কে আটক করেছে  র‌্যাব। জুবায়ারে সাটুরিয়া উপজেলার জালশুকা গ্রামের সামছুল হকের পুত্র। সে জালশুকা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্র ছিল।
বিষয়টি সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।

জুবায়ের পিতা সামছুল হক বলেন, জুবায়ের বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারী) স্কুল থেকে ফেরার পর দুপুরে বাড়ীর পাশের মহিদুল ইসলামের সাথে খেলা করে। এর পর থেকেই সে নিখোজ হয়। পরেরদিন শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার সময় মোবাইল ফোনে এক মহিলা তার নিকট ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করেন। ১২ ঘন্টার মধ্যে ৩ লক্ষ টাকা সাভার অভার ব্রিজের নিচে নিয়ে না আসলে ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। টাকা নিয়ে সাভার গেলেও অপহরণকারীরা আর আসে নি।

পরে শুক্রবারই সাটুরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়রে করেন। যে মোবাইল ফোন থেকে মুক্তিপন চাওয়া হয় তা ট্রেকিং এর মাধ্যমে নবিনগর র‌্যাব ৪ (উপ- অধিনায়ক) মেজর আব্দুল হাকিমের নের্তৃত্বে  একটি টিম অভিযানে বের হয়।

রবিবার সকাল ৭ টার দিকে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জন কে সাথে নিয়ে জালশুকা গ্রামের একটি লেবু খেত থেকে জুবায়ের হোসেনের খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে সাটুরিয়া থানা পুলিশ রবিবার দুপুর ১ টার দিকে খন্ডিত দেহ ময়না তদন্ত করার জন্য থানায় নিয়ে আসে।

এ ঘটনায়  জালশুকা গ্রামের পাহালীর পুত্র মহিদুল ইসলাম (২০) ও নাগর পুর উপজেলার গন্দ জালশুকা গ্রামের কুরবান আলী পুত্র উজ্জল কে জিঙ্গাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে র‌্যাব।
এ ব্যাপারে সাটুরিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এস, আই সাইফুল ইসলাম বলেন, জুবায়ের এর দেহ ৫-৬ টি খন্ডে খন্ডিত ছিল। ধারনা করা হচ্ছে অপহরণকারীরা তাকে হত্যা করে লেবু খেতে রেখে যায়। পরে তার মহদেহ শিয়াল কামরে খেয়ে ফেলায় তার দেহে কোন মাংস ছিল ন। রবিবার দুপর আড়াই টা পর্যন্ত জুবায়ের এর মরদেহ ময়না তদন্ত করার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানোর পক্রিয়া চলছে। আর র‌্যাব আমাদের নিকট এখন পর্যন্ত কোন আসামী কে হস্তান্তর করে নি। 

মানিকগঞ্জ২৪/ হা.ফ/ ২০ জানুয়ারী ২০১৯।

আরো পড়ুুন